Advertisement
০২ মে ২০২৪

সংস্কৃতি যেখানে যেমন

মালবাজার অ্যাক্টোওয়ালা নাট্য দলের আয়োজনে তিন দিনের নাট্যোত্‌সবে মেতে উঠেছিল মালবাজার। গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত ডুয়ার্সের এই নাট্যোত্‌সবে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের নাটকের দলগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হল।

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০০
Share: Save:

মালবাজারে অ্যাক্টোওয়ালার নাট্যোত্‌সব

মালবাজার অ্যাক্টোওয়ালা নাট্য দলের আয়োজনে তিন দিনের নাট্যোত্‌সবে মেতে উঠেছিল মালবাজার। গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত ডুয়ার্সের এই নাট্যোত্‌সবে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের নাটকের দলগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হল। সূচনায় ছিল ছোটদের নাটক ‘ভূতের দরবারে ভেঁপু’। ডামডিম যুব নাট্য সংস্থার এই প্রযোজনায় ছোটদের অভিনয় দীর্ঘদিন মনে রাখবেন নাট্যমোদী দর্শকেরা। সুধাংশু বিশ্বাস রচিত ও নির্দেশিত এই নাটকটিতে বিশেষ করে নজর কেড়েছে সৌরভ গুহ, রুদ্রাংশু বিশ্বাস, শুভাশিস দে, গৌরব পোদ্দার এবং সৌমিক দে। সুজিত সাহার এই নাটকে আলোকসম্পাতও ছিল চমত্‌কার। প্রথম দিনের দ্বিতীয় নাটকটি পরিবেশন করে আলিপুরদুয়ারের সঙ্ঘশ্রী যুবনাট্য সংস্থা। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি ছিল এই নাটকের মূল বিষয়। উত্‌সবের দ্বিতীয় দিনে আয়োজক অ্যাক্টোওয়ালা পরিবেশন করল ‘একাদশী বৈরাগী’ অবলম্বনে নাটক। সুধাংশু বিশ্বাস নির্দেশিত এই নাটকে মালবাজারের বাসিন্দা নাট্যশিল্পীরা প্রত্যেকেই দর্শকদের হাততালি কুড়িয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের শেষ নাটক পরিবেশন করে হাওড়া অনুযুগ নাট্যগোষ্ঠী। হাসির নাটক “বিনি পয়সার ভোজ” মন কাড়ে দর্শকদের। শেষ দিনে অনুযুগ গোষ্ঠী পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘যাত্রী’ পরিবেশন করে।

শতবর্ষে ফিরে দেখা

মিত্র সম্মিলনী এবং শিলিগুড়ি শহরে প্রথম নাটকের শতবর্ষপূর্তি উত্‌সবের সূচনা হয় গত ৬ ডিসেম্বর। সম্মিলনীর পতাকা তোলেন সভাপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য। সুরেন্দ্র মঞ্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে উত্‌সবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সুরেন্দ্র মঞ্চ থেকে দীনবন্ধু মঞ্চ পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রাও হয়। শোভাযাত্রায় শিলিগুড়ির নাট্যপ্রেমীরা ছাড়াও সামিল হন জলপাইগুড়ির আর্যনাট্য সমাজের নাট্যকর্মীরা। একশো বছর আগে ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ নাটকের অভিনয় দিয়ে মিত্র সম্মিলনীর নাটকের পথে চলার শুরু। গত ১৩ ডিসেম্বর ফের সেই নাটকটি মঞ্চস্থ হল। সম্মিলনীর সম্পাদক উদয় দুবে জানিয়েছেন, গত ১৩ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় নতুন ভাবে সম্পাদিত ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ মঞ্চস্থ করা হয়। সম্পাদনা, নির্দেশনা এবং মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ব্যোমকেশ ঘোষ। নাটকের অনান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চম্পক চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ দে, সুদীপ রাহা, মিন্টু রাহা, সোমা ভট্টাচার্য, সোমা রায়চৌধুরী প্রমুখ। শিশু শিল্পী বর্ণিক ঘোষও নাটকে অভিনয় করেছেন। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় গুণীজন সংবর্ধনার পর বলাকা প্রযোজিত অনুনাটক ‘শহিদ শিখর’ এবং ইঙ্গিতের ছোট নাটক ‘আপনজন’ মঞ্চস্থ হয়।

স্কুলের অনুষ্ঠান

মালদহের চাঁচলের সদরপুর হাই স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। ওইদিনই প্রকাশিত হল স্কুলের সাহিত্য পত্রিকা ‘নবারুণ’ও। গত বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রছাত্রী শিক্ষকদের সঙ্গে অংশ নিলেন এলাকার বাসিন্দারাও। ছাত্রছাত্রীদের নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি, গানের সঙ্গে ছিল ‘অন্ন চাই, প্রাণ চাই’ নাটকও। নাটকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র চন্দ্রকান্ত দাসের অভিনয় নজর কাড়ে। নবম শ্রেণির ছাত্রী রিঙ্কি খাতুনের স্বরচিত কবিতাপাঠ দর্শকদের হাততালি কুড়িয়েছে। এ ছাড়া রবীন্দ্র সঙ্গীতে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী পারুল মন্ডল, নৃত্যে আয়েশা খাতুনও দর্শকদের প্রশংসা পায়। একসময় স্কুলগুলিতে দেওয়াল পত্রিকার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার রেওয়াজ ছিল। যদিও এখন তা বেশ দুর্লভ বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। যদিও, ওই স্কুলে এখনও নিয়মিত তিন মাস পরপর দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে। ওই দেওয়াল পত্রিকা থেকে নির্বাচিত কবিতা, গল্প নিয়েই প্রকাশিত হয় পত্রিকা ‘নবারুণ’।

বিদ্যালয়ের ৫০ বছর

উত্তর মালদহের বামনগোলার ঐতিহ্যমণ্ডিত মহেশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা হল ১৩ ডিসেম্বর। উদ্বোধন করেন খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক খগেন মুর্মু, অতিরিক্ত জেলা সমাহর্তা অমলকান্তি রায়, অধ্যাপক বিকাশ রায়, গিরিজানন্দ মহারাজ প্রমুখ। ছাত্রছাত্রীদের উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। স্মরণিকা ‘চেতনা’ প্রকাশ করেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র। ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত আবৃত্তি-সহ নৃত্যালেখ্য ‘আমি সেই মেয়ে’ দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নেয়। পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষিকা শিপ্রা মিশ্র। ছিল ম্যাজিক শো ও পুরুলিয়ার ছৌনৃত্য। মধুমিতা কর্মকার নির্দেশিত মালদহের আবৃত্তি বলয়ের নিবেদিত শ্রুতিনাটক বুদ্ধদেব বসুর ‘অনামী অঙ্গনা’ ছিল আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ছিল ‘গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা। কলকাতার ‘অহর্নিশ’-এর উদ্যোগে পরিবেশিত হয় গীতিআলেখ্য ‘মেঘদূতম’। শেষ দিন মক পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীরা। পরিচালনা করেন শিক্ষক শ্যামঠাকুর দাস। সান্ধ্য অনুষ্ঠানে ছিল মালদহের নিজস্ব বাউল এবং গম্ভীরা।

লেখা ও ছবি : অনিতা দত্ত।

সৃজনের নাট্যোত্‌সব

বালুরঘাট নাট্যতীর্থ মন্মথ মঞ্চে ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল ‘সৃজন’ নাট্যগোষ্ঠীর অণুনাটক উত্‌সব। দর্শকপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে ‘সৃজন’-এর ষষ্ঠ বর্ষের এই আয়োজনে মঞ্চস্থ হল ৬টি অণুনাটক। একেবারে প্রথমে ছিল তৃষা সাহা ও ঋতবৃতা সাহার যৌথ পরিবেশনায় ‘ফিরে এস আগুন’। উদ্বোধনের পর একে একে মঞ্চস্থ হয় বীরভূম ‘আত্মজ’-র ‘সবার উপরে’, কোচবিহার ‘বর্ণনা’-র ‘সাইক্লোন’, হুগলির ‘আমরা ক’জন’-এর ‘বিশ্ব হাস্য দিবস’, জলপাইগুড়ির ‘সূচনা’-র ‘আসমানের তারা’, কোচবিহার থিয়েটার ইউনিটের ‘অন্ধি সন্ধি’ এবং আয়োজক ‘সৃজন’-এর ‘নিশিকুটুম্ব’। সৃজন-এর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘বালুরঘাটের নাটকের ঐতিহ্যে ২০০৯ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে অণুনাটক। আশা রাখি অন্যরাও উত্‌সাহী হবেন।’ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সঞ্জয় কর্মকার।

নাট্যমন্দিরের বর্ষপূর্তি

বালুরঘাট নাট্যমন্দির তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহে উদযাপন করল ১০৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। শতবর্ষ অতিক্রান্ত নাট্যপ্রতিষ্ঠানের ৭ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সদস্য চন্দন সেন। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি ও সমাজসেবী মুকুল বসু। প্রধান অতিথির ভাষণে নাটকের সঙ্গে শিক্ষার অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কের বিষয়ে সুন্দর বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক তাপস চৌধুরী। সংবর্ধনা দেওয়া হয় অতীত দিনের নাট্যকুশীলব অনিলবরণ মুখার্জি, সঞ্চিতা সেনগুপ্ত, অঞ্জুশ্রী দাস সরকার, বীথিকা মুখার্জি এবং রুমা নন্দীকে। বালুরঘাট নাট্যমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অজিত মহন্ত তাঁর বক্তব্যে নাট্যমন্দিরের অতীত ঐতিহ্যের প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দিয়ে আগামী পরিকল্পনা ও নাট্যদায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দেন। শেষে ত্রিতীর্থ-র পক্ষ থেকে তাদের হাস্যরসাত্মক নতুন প্রযোজনা ‘ভোজন দক্ষিণা’ মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিজন সাহা।

লেখা: তুহিনশুভ্র মণ্ডল।

একা শৌভনিক

পড়াশোনা এই শহরেই। শহরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা স্মৃতি। তাই কোচবিহারে গান গাইতে এসে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন শৌভনিক দত্ত। কোচবিহার শহরের স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। গত ৭ ডিসেম্বর রবীন্দ্র ভবনে ‘একা শৌভনিক লাইভ’ অনুষ্ঠান ছিল। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিকল্প’ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রায় টানা তিন ঘন্টা গান গেয়েছেন শৌভনিক। অনুষ্ঠানের ফাঁকে কোচবিহারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা স্মৃতির কথাও তুলে ধরেন শিল্পী। সুরকার ও কন্ঠশিল্পী শৌভনিক দত্ত একসময় কোচবিহারের নতুন বাজার লাগোয়া এলাকায় থাকতেন।

সাহিত্যের জন্য সারাদিন

সারা দিনটি রাখা ছিল সাহিত্যের জন্য। ছড়া থেকে রম্যরচনা, ছোট গল্প থেকে গান কোনও আয়োজনই বাদ পড়েনি। গত ৭ ডিসেম্বর ‘আজকের অনুভব’ পত্রিকার উত্তরবঙ্গ শাখার তৃতীয় বার্ষিক সভা ও সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিলিগুড়ির প্রধাননগরের সিস্টার নিবেদিতা স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের শিলিগুড়ি শাখার স্বামী আত্মবোধানন্দ মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী অতিশানন্দ মহারাজ, গৌরমোহন রায় এবং রতন বিশ্বাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কবিতা, গল্প সহ সাহিত্য নিয়ে আলোচনাও চলেছে দিনভর।

কবিতার জলসাঘর

ইসলামপুরে অনুষ্ঠিত হল ‘কবিতার জলসাঘর’। ১৩ ডিসেম্বর কবিতা পাঠের আসর বসেছিল ইসলামপুরের নেতাজি সুভাষ মঞ্চে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হল্যান্ডের সমাজসেবী ইয়ান। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল কবিতা। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল কবিতার কোলাজ যার নাম ‘শব্দ প্রদীপ’। শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয় সেখানে অংশ নিয়েছিলেন অভিভাবকেরাও। নাটকে অবদানের জন্য উত্তম সরকারকে ‘সৃজন সম্মান ২০১৪’ পুরস্কার দেওয়া হয়। সঞ্চালনা করেন মনোনীতা চক্রবর্তী, সুশান্ত নন্দী, সুদীপ্ত ভৌমিক ও মিমো ধর।

অমিত গুপ্ত সংখ্যা

মালদহের বর্ষীয়ান লেখক অমিত গুপ্ত এই প্রজন্মের কাছে অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছেন। ধূপগুড়ির ‘চিকরাশি’ তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁকে পরিচিত করাবার জন্য প্রকাশ করেছে ‘অমিত গুপ্ত সংখ্যা’। সংকলনের ‘স্মরণ’ অংশে স্থান পেয়েছেন কবি সুনীল কুমার চক্রবর্তী এবং রমাকান্ত রায়। ‘প্রসঙ্গ : অমিত গুপ্ত’ শীর্ষক অধ্যায়ে লেখকের জীবন ও রচনাশৈলীর বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করেছেন অর্ণব সেন, মৌসুমী সাহা, সমীর দাস, জ্যোত্‌স্নেন্দু চক্রবর্তী, শুক্লা রায় এবং আরও অনেকে। অমিত গুপ্তর গল্প এবং কবিতার পাশাপাশি সতী গুপ্তর ‘আমার স্বামী অমিত গুপ্ত’ রচনাটি সংকলনের আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে। অমিত কুমার দে সম্পাদিত ‘চিকরাশির’ এই প্রয়াস প্রশংসনীয়।

লেখা: সুদীপ দত্ত।

বাঘাযতীন স্মরণ

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘাযতীন) ১৩৬তম জন্মজয়ন্তী পালন করল মালবাজার বাঘাযতীন স্পোর্টিং ক্লাব। এই উপলক্ষে ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। তিনটি বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ১২০ জন প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন এলাকার নবীন ও প্রবীণেরা। পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ও শ্যামাসঙ্গীত। ছিল নৃত্যানুষ্ঠানও।

আলোচনাচক্র

সম্প্রতি মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ‘বর্তমান সমাজ ও শিক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্রে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অছি পরিষদের সদস্য স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ। স্বামীজির রচনার নির্বাচিত অংশ পাঠ করেন মহসিনা বেগম ও তপতী দাস। স্বামীজির স্বরচিত কবিতা ও সঙ্গীত উপহার দেন শুভঙ্কর দে, নবনীতা সরকার, চন্দন বর্মন, তমালিকা ভট্টাচার্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপিকা জয়া অধিকারী।

বাংলা ছড়া

কোচবিহার-ভেটাগুড়ি থেকে অভিজিত্‌ দাসের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ছড়ার কাগজ ‘বাংলা ছড়া’। ছোটদের বড়দের সীমারেখা মুছে দিয়ে ছোট বড় সকলের জন্য কলম ধরেছেন ছড়াকাররা। ছড়ার পাশাপাশি ছড়াকার শুভাশিস দাসের সাক্ষাত্‌কার এবং ‘ছড়ার খেলা’ও পড়া যাবে বাংলা ছড়ায়। অমিত কুমার দে তাঁর ‘ডুয়ার্সের নদীর ছড়া’তে ডুয়ার্সের নদীগুলিকে ছড়াবন্দি করেছেন। অভিনব এই কাগজের সম্পাদকীয়টিও ছড়াতেই।

আনন্দধারা

সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক মুখপত্র “আনন্দধারা” প্রকাশিত হল। আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ শুভেন্দুভূষণ মোদক। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন সম্পাদক পার্থপ্রতিম মল্লিক।

পৌষ মেলা

ইসলামপুরে শুরু হল পৌষ মেলা। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ইসলামপুরের কোর্ট মাঠ চত্বরে শুরু হয় এই মেলা। রকমারি হাতের কাজের সামগ্রী ঠাঁই পেয়েছে মেলায়। মেলা চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE