মেয়ের ধর্ষক ও খুনি সাজা পেয়েছে। চার বছর ধরে সেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরে রবিবার তিনি ছুটি নিলেন।
তিনি বললেন, ‘‘অনেক দিন পর রাতে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন। ভোর পাঁচটায় উঠে ভাত ডাল আলুভাজা করে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে খেয়েছি। তবে আজ আর কাজে যেতে মন চায়নি।’’ দীর্ঘ চার বছরের লড়াইয়ের ফল পেয়েছেন। তাই নিজেই ছুটি নিয়ে কাজে যাননি এ দিন।
তবে লড়াই থামছে না। যত দিন না তাঁর মেয়ের খুনি ও ধর্ষকের ফাঁসি হচ্ছে, তত দিন লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। নাবালিকার মা জানান, ‘‘আজ মেয়েটার আত্মা শান্তি পেল। তবে যত দিন না তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে, তত দিন লড়াই চলবে।’’
মেয়ের ধর্ষক ও খুনি অ্যালবার্ট টোপ্পোর মৃতুদণ্ড হওয়ায় তিনি খুশি। কিন্তু তাতে মেয়ে চলে যাওয়ার দুঃখ মুছে যায় না। বারবার মেয়ের ছবির দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল।
রবিবার সকালে মথুরা চা বাগানের পিথার লাইনে ওই নাবালিকার দুই ভাই ও দিদিও চুপ করে দাঁড়িয়েছিল মায়ের পাশে। কোথাও যেন একটা সান্ত্বনা খুঁজছিল পরিবারের সকলে। চা বাগানের টিনের ঘরে সকাল থেকেই উপস্থিত পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা। সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই নাবালিকার ছবির সামনে।
নাবালিকার মা জানান, শনিবার আদালতে অ্যালবার্ট টোপ্পোর মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি জেনে বাড়ি আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তারপর ঝড়-বৃষ্টিতে পাড়া প্রতিবেশীর কেউ আসেননি। রবিবার সকাল হতেই সবাই চলে এসেছিলেন। খবর নিয়েছেন। অ্যালবার্ট টোপ্পোকে অনেকেই চেনেন। তাঁরা লজ্জায়, দুঃখে অধোবদন। সকালে মেয়ের ছবি একটি টেবিলে সাজিয়ে তাঁতে সাদা ফুল দিয়েছিলেন মা। জ্বালিয়ে ছিলেন মোমবাতি। স্থানীয় বাসিন্দারা কাগজে নাবালিকার আত্মার শান্তি কামনা করে বার্তা দিয়েছেন। নাবালিকার এক ভাই বলল, ‘‘ঘটনার দিন বাড়ির কাছে দাড়িয়েছিলাম। দেখলাম অ্যালবার্ট দিদিকে সাইকেল চাপিয়ে মথুরা হাট খোলার দিকে নিয়ে গেল। দিদি আর বাড়ি ফেরেনি।’’
এলাকার বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলা লাকড়া, এলিজাবেথ ওরাওঁরা জানান, অ্যালবার্ট যে শাস্তি পেয়েছে, সেটা তার প্রাপ্য ছিল। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কারও সঙ্গে না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy