সোমবার রাতে বিনা চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠলো মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শিশু বিভাগের কেবিনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। সেই সময় তাঁদের মারধরের অভিযোগ ওঠে একাংশ জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই ওয়ার্ডে। পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ দিনের ঘটনার পরিপেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আয়ুষ মণ্ডল (৩)। তার বাবা পরিমলবাবু পেশায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। ইংরেজবাজার থানার রাধামাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। শিশুটি কীটনাশক খেয়ে ফেলে বলে দাবি পরিবারের।
বেলা ১১টা নাগাদ তাকে ভর্তি করানো হয় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগে। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর কোনও চিকিৎসকই শিশুটির চিকিৎসা করেননি। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময় চিকিৎসক এবং নার্সদের বিষয়টি জানানো হলে রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। তারপরই সন্ধ্যে ছটা নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুর।
রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ মৃত শিশুর বাবা পরিমলবাবু সহ দু’জনকে মারধর করে। পরিমলবাবু বলেন, ‘‘একে তো বিনা চিকিৎসায় আমার ফুটফুটে ছেলেটি মারা গেল। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে চিকিৎসকদের হাতেই মার খেতে হল। সরকারি হাসপাতালে এমন হলে আমরা কোথায় যাব।’’
ঘটনার পরিপেক্ষিতে দ্রুত ডেপুটি সুপারের নেতৃত্ব তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দ্রুত তদন্ত কমিটিকে আমি রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া রোগীর আত্মীয়েরা পৃথক ভাবে অভিযোগ করলে তা-ও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’’ মালদহের জেলা শাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তন্ময়কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy