Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

অশালীন অাচরণে অভিযুক্ত কনস্টেবল

এক বধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩৪
Share: Save:

এক বধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে৷

জলপাইগুড়ি শহরে ক্লাব রোডে খোদ ডিআইজি-র সরকারি বাংলোর পাশের বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ওই রাস্তাতেই ডিআইজির বাংলোর পাশে রয়েছে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের বাংলোও৷ স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল ডিআইজির বাংলোতেই নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন৷ ঘটনার পরই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

অভিযোগকারিণী বধূর অভিযোগ, ডিআইজি-র বাংলোতে প্রহরার কাজে থাকা ওই কনস্টেবল কিছুদিন ধরেই তাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল৷ কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি৷ তাঁর কথায়, “একটি হোমে চাকরি করেন আমার স্বামী। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে আবার একটা কাজে বের হন৷ বাড়িতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে তখন একাই ছিলাম ৷ ঠিক সেই সময় ওই কনস্টেবল বাড়ির পেছনের পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢোকে৷ আমায় দরজা খুলে দিতে বলে ৷ আমি প্রতিবাদ করলে সে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার হুমকি দেয়৷” এরপরই ওই গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে ওই কনস্টেবল পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়৷ গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির লোক ছুটে যান৷ বাড়ি ফিরে পুলিশে খবর দেন তাঁর স্বামী ৷ তারপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই কনস্টেবলকে আটক করে৷

তবে আটক করলেও কনস্টেবলকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার দীনেশ রাউত বলেন, ‘‘এত বড় ঘটনার পর পুলিশের উচিত ছিল কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা৷’’ যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই বধূ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তার সর্বোচ্চ সাজা যেহেতু সাত বছরের কম তাই আদালতের নির্দেশ মেনেই তাকে ৪১এ-র নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷

যদিও এ দিন দুপুরেই অভিযুক্ত কনস্টেবল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন পেয়ে যান৷ তাঁর আইনজীবী শান্তুনু ভৌমিক বলেন, ‘‘ওই গৃহবধূ আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিলেন৷ তবু তিনি এ দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা জামিনযোগ্য হওয়ায় তিনি জামিন পেয়ে যান৷’’

ওই বধূর স্বামী এ দিন বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত৷ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি৷’’ বিষয়টি নিয়ে ডিআইজি রাজেশ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ ছিল৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Constable indecent behavior
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE