বন্ধ: বারবার এই দৃশ্য দেখেই ফিরছেন বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।
নোটবন্দির পর থেকে সেই যে বন্ধ হয়েছে এটিএম, আর টাকা মেলে না। কোথাও কোথাও ঝাঁপ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও তা খোলা থাকলেও ভিতরে ঢুকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় গ্রাহকদের।
কোচবিহারের গ্রামের দিকে একাধিক এটিএম কাউন্টারের এই বেহাল দশায় ক্ষোভ চরমে ঊঠেছে। শহর সংলগ্ন এলাকা ঘুঘুমারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম দত্ত অভিযোগ করেন, বাজারের একটি এটিএম কাউন্টারের সামনে কুকুর শুয়ে থাকে। হতাশ হতে হতে এখন আর গ্রাহকরা কেউ ওই পথে যায় না। জামালদহের বাসিন্দা মৃন্ময় ঘোষের অভিযোগ, সব থেকে কাছের এটিএমটিই দশ কিলোমিটার দূরে। সেখানেও টাকা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, নোটবন্দির পরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এখন তা নেই। জেলার ১৬৮ এটিএমের মধ্যে এখন বেশিরভাগ এটিএমে সব সময় টাকা পাওয়া যায়। কিছু এটিএমে টাকা একটু কম থাকে। কোচবিহারের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার বলেন, “এখন সব এটিএম চালু থাকার কথা। তবে নানা কারণে সমস্যা হতে পারে। তা খতিয়ে দেখা হবে।” গ্রাহকরা অবশ্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি মানতে নারাজ। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “গ্রামের গ্রাহকরা এটিএম সমস্যায় জেরবার। প্রত্যেককেই টাকা তুলতে শহরে ঢুকতে হয়। সে কারণে অতিরিক্ত সময় শুধু নয়, টাকাও গুণতে হয়। এই পরিস্থিতি পাল্টানো দরকার।” কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য শালমারা বাসিন্দা তরণী বর্মন অভিযোগ করেন, শালমারা বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার রয়েছে। ওই কাউন্টারে প্রায়ই কোনও টাকা থাকে না। তিনি বলেন, “প্রতি দিন গ্রাহকদের হয়রানি হচ্ছে।” গীতালদহের বাসিন্দা মইনুল হক বলেন, “আমাদের এখানে দু’টি এটিএম কাউন্টার। একটিতে টাকা প্রায় পাওয়া যায় না বললেই চলে। আরেকটিতে মাঝে মাঝে মেলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy