সঙ্গীতা কুণ্ডু নিখোঁজ মামলায় পরিমল সরকার সহ ধৃত পাঁচজনের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দিল আদালত৷ সোমবার জলপাইগুড়ির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ রায় ধৃতদের ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। খুন বা পাচারের উদ্দেশ্যেই শিলিগুড়ির জিম-পার্লারের কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে সিআইডি৷
১৮ ডিসেম্বর এই মামলায় দু’টি ধারা ৩৬৪ ও ৩৬৬ যোগ করা হয়৷ এ দিন এই মামলার শুনানির শুরুতেই পরিমলবাবুর আইনজীবী অত্রিদেও শর্মা আদালতে দাবি করেন, ধৃতদের গ্রেফতারের পর ৪২ দিন কেটে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তদন্ত না এগোনোয় ধৃতদের জামিন আটকাতে কিশোরীর মায়ের ধারণার জেরে এই ধারা দু’টি যোগ করা হয়েছে৷’’ ধৃত আরেক অভিযুক্ত তপন দে-র আইনজীবী কল্লোল ঘোষ জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ বা তথ্য প্রমাণ কোনটিই নেই৷ তা ছাড়া তিনি অসুস্থ। কিন্তু, সরকারের তরফে তদন্তের স্বার্থে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
নিখোঁজ তরুণীর দাদা শম্ভু কুণ্ডুর আইনজীবী অর্ণব সেনগুপ্ত আদালতে এ দিন একটি আবেদন জমা দেন৷ তিনি আদালতে জানান, নিখোঁজ তরুণীর মা ও দাদার আশঙ্কা, মেয়েটির খারাপ কিছু হতে পারে। সে জন্য তদন্তকারী সংস্থাও দু’টি নতুন ধারা যোগ করেছে বলে অর্ণববাবুর দাবি। সরকার পক্ষের আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায়ও ধৃতদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন৷ আগামী ৯ জানুয়ারি মামলার পরের শুনানি হবে।
শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বাসিন্দা সঙ্গীতা জিম তথা পার্লার মালিক পরিমলবাবুর দেওয়া ফ্ল্যাটে থাকতেন। পরিমলবাবু গত ২৬ অগস্ট ভক্তিনগর থানায় মিসিং ডায়েরি করে জানান, ১৭ অগস্ট থেকে সঙ্গীতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশি তদন্তে অগ্রগতি হয়নি দেখে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে সঙ্গীতাকে খুঁজে বার করার দাবিতে আবেদন করে পরিবার। মামলাটি গ্রহণ করে উচ্চ আদালত জানুয়ারির মধ্যে সিআইডিকে সঙ্গীতার নিখোঁজের ব্যাপারে তদন্ত কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। জানুয়ারির গোড়ায় হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy