তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের নাম গোপন রাখল বিজেপি। আজ, সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। তার একদিন আগে রবিবার রায়গঞ্জে দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম।
তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শহরের ২, ১২, ১৩, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির নেতা ও কর্মীদের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করছে। প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘তাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই ওই ওয়ার্ডগুলির প্রার্থীদের নাম আমরা ঘোষণা করব।’’
বিজেপির তরফে কেন পুলিশে অভিযোগ জানানো হচ্ছে না এই প্রশ্নের জবাবে নির্মলবাবু দাবি করেন, বড় কোনও গোলমাল না হওয়া পর্যন্ত দলের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হলে সরকারি ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তৃণমূল বিজেপির নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে। তাই কারও বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপির জেলা নেতারা ওই পাঁচটি ওয়ার্ডে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না। রাম শ্যাম গোছের প্রার্থী খুঁজতেও হিমশিম দশা হচ্ছে তাঁদের। বিষয়টি আড়াল করতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প ফাঁদা হচ্ছে।’’
বিজেপি ১ নম্বর ওয়ার্ডে পার্থ দেবনাথ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে অর্পিতা মিত্র, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শঙ্কর চক্রবর্তী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রশান্ত পাল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুস্পল দেব, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উজ্বল দাস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অভিজিত যোশি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাধবী চন্দ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রলয় সরকার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভুদেবচন্দ্র সিংহ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে অরিন্দম সরকার, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবীর বর্মা, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুপুর সাহা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবীর ঘোষ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মনোজিত মজুমদার, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তিতান মুন্সি, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভক্তকুমার রায়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃণ্ময় মজুমদার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পূরবী রায়, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোপাল রায়, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে অসিত ঘোষ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাখী রায়কে প্রার্থী করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy