Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ নৈশপ্রহরীর ছেলেকে গ্রেফতার করল। ধৃতের নাম আতিবুর রহমান। তিনি গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। আতিবুরকে জেরা করে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ধৃত আতিবুরের বাবা জেলাপরিষদের নৈশপ্রহরী।

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৭
Share: Save:

জেলা পরিষদে ডাকাতি, ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট

তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ নৈশপ্রহরীর ছেলেকে গ্রেফতার করল। ধৃতের নাম আতিবুর রহমান। তিনি গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। আতিবুরকে জেরা করে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ধৃত আতিবুরের বাবা জেলাপরিষদের নৈশপ্রহরী। তিনি বাবার হয়ে ওই দিন ডিউটিতে ছিলেন। জেরায় অসংলগ্ন কথাবার্তা থেকে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।” সোমবার গভীর রাতে বালুরঘাট থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শহরের ডাকবাংলো পাড়ায় অবস্থিত জেলাপরিষদ ভবনে দুষ্কৃতীরা ঢুকতেই চোর বলে চিত্‌কার করে নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে থাকা আতিবুর। কেয়ারটেকার রমেশ মাহাতোর কোয়ার্টারে ছুটে যান বলে তিনি দাবি করেন। এরপরই দুষ্কৃতীরা তাদের বেঁধে রেখে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে জেলাপরিষদের বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ এবং আধিকারিকের ঘরে ঢুকে নথিপত্র তছনছ করে ও টাকা লুঠ করে পালায়। ঘটনার পরই তৃণমূলের কার্যকরী জেলা সভাপতি বিপ্লব খাঁ বলেন, “জেলাপরিষদে ডাকাতির ঘটনার পিছনে এক গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।” এদিন বিপ্লববাবু অভিযোগ করেন, “উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত করতেই কর্মাধ্যক্ষ এবং আধিকারিকদের ঘরে ঢুকে নথিপত্র চুরি ও তছনছ করা হয়েছে। দলের তরফেও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

কার্নিভালে বিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

কার্নিভালের অনুষ্ঠানে আসা এক সরকারি আধিকারিককে অতিথি আসনে বসার জায়গা ছেড়ে দিতে বলায় বরো অফিসারকে চড় মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। বুধবার শিলিগুড়ি মার্গারেট স্কুলের মাঠে কার্নিভাল অনুষ্ঠানের সময় ঘটনাটি ঘটেছে। ককার্নিভ্যালের ওই মঞ্চে আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন ওই বরো অফিসার জুয়েল সরকার। এ দিন ওই মঞ্চে চন্দ্রবলী রুদ্র এবং ওম ছেত্রীর অনুষ্ঠান হয়। সাড়ে ৭ টা নাগাদ সেখানে যান ম ওই আধিকারিক। তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সামনের সারিতে অতিথি আসন সোফায় বসাতে নিয়ে যান বরো অফিসার। সোফাতে সে সময় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বাচ্চু দত্ত ও তাঁর সঙ্গীরা বসেছিলেন। ওই সরকারি অফিসারের বসার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে বলে তাঁদের পাশের সিটে বসতে অনুরোধ করেন জুয়েলবাবু। অভিযোগ, তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাচ্চুবাবু এবং তাঁর লোকজন। আরেকটি সোফা এনে ওই আধিকারিককে বসতে দেওয়া হয়।

নিগ্রহের প্রতিবাদে

নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার

চিকিত্‌সক নিগ্রহের ঘটনার জের আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আলিপুদুয়ার শহরের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেন না চিকিত্‌সকরা। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে বেশ কয়েকবার চিকিত্‌সক, নার্স এবং রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গেও অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে এক চিকিত্‌সকের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে চড় মারার অভিযোগ উঠছে। রোগীর পরিচিতের বিরুদ্ধে পুলিশ এক যুবকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জেরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিত্‌সকরা।

বাগানে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার

ফের এক জনের মৃত্যু হল পাটকাপাড়া চা বাগানে। বুধবার হেনা খাড়িয়া (৫৫) নামে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ইউটিইউসির নেতা নির্মল দাসের দাবি, বার্ধক্যজনিত রোগেই তাঁর মৃত্যু হয়। গত ১৬ নভেম্বর চাবাগান ছেড়ে চলে যান মালিক পক্ষ। তার পর থেকে চা বাগানটি বন্ধ। নির্মলবাবুর ক্ষোভ, “চা বাগানটি বন্ধ হওয়ার পরে ৪ জনের মৃত্যু হল।” আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক সমীরণ মণ্ডল বলেন, “চা বাগানে মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

কর্মবিরতি

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

স্থায়ী আদালত ভবন তৈরি এবং ভক্তিনগর থানা এলাকাকে শিলিগুড়ি আদালতের অর্ন্তভুক্তির দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আইনজীবীরা। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে এই দুই দাবিতে শিলিগুড়ি আদালতের ১১টি কোর্টে কর্মবিরতি শুরু করেছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বুধবার শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতে তাঁদের এই কর্মবিরতি চলবে।

নিশিগঞ্জে শসা ফেলে বিক্ষোভ

দাম না পেয়ে ফের রাস্তায় শসা ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা কোচবিহার-মাথাভাঙা সড়কের নিশিগঞ্জে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। মাঠেই শসা পচে যাচ্ছে, দাম মিলছে না এই অভিযোগে তাঁরা মঙ্গলবারও শসা ফেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। পরে মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও মক্কন থেন্ডুপ লামা ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি বলেন, “রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। চাষিদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারেও সেখানে আর্জি জানানো হয়েছে। সে কথা আমরা কৃষকদের জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE