শিলিগুড়ি জিম-পার্লারের তরুণী সঙ্গীতা কুণ্ডু নিখোঁজের পরে ৫ মাস কেটে গিয়েছে। জিমের মালিক পরিমল সরকার সহ ৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু, সঙ্গীতা কোথায় তা পুলিশ ও সিআইডি স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি। এমনকী, সঙ্গীতাকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের পরে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে যে সন্দেহ পরিবারের অন্দরে দানা বাঁধছে, তা নিয়েও তদন্তকারীরা কিছু এখনও স্পষ্ট করেননি। তাই ওই মামলায় সংশ্লিষ্টরা এখন সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের দিকে। কারণ, আজ, সোমবার সঙ্গীতা-অন্তর্ধান মামলাটি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে ওঠার কথা। আগের শুনানির নির্দেশ মতো আজই সিআইডিকে তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে।
ঘটনাচক্রে, আজ, সোমবারই জলপাইগুড়ি আদালতে ফের হাজির করানো হবে পরিমলবাবু সহ ৪ জনকে। সেখানেও ‘কেস ডায়েরি’তে নতুন কী তথ্য সংযোজিত হয়েছে, তা নিয়েও কৌতুহল তুঙ্গে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। ওই রিপোর্টে সঙ্গীতা নিখোঁজের পরে জিম মালিকের কোন কোন পদক্ষেপ সন্দেহজনক, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। ‘ব্রেন ম্যাপিং ও পলিগ্রাফ’ পরীক্ষায় পরিমলবাবু যে রাজি হননি সেই প্রসঙ্গও রিপোর্টে রয়েছে। সিআইডির এক অফিসার জানান, তা ছাড়াও সম্প্রতি সংগৃহীত কিছু তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের কথাও রিপোর্টে রয়েছে। পরিমলবাবু অবশ্য নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছেন।
তাই কিছুটা হলেও আশায় বুক বাঁধছেন শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠের শান্তিনগরের বাসিন্দা সঙ্গীতার মা অঞ্জলি দেবী। মেয়ের শোকে প্রায় শয্যাশায়ী বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘মেয়েটা বেঁচে আছে না খুন হয়েছে, সেটা স্পষ্ট হোক। আশা করি আজ তা বোঝা যাবে। আমার মেয়ের নিখোঁজের আড়ালে যাঁরা, তাঁরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, নিশ্চয়ই আমরা সুবিচার পাব।’’ ২৭ বছরের সঙ্গীতা শিলিগুড়ির সেবক রোডে জিমের কর্মী। আজ বেলা ৩ টেয় হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy