পাশে: নেত্রীর সঙ্গে মৃদুল গোস্বামী। ফাইল চিত্র
দলে গুরুত্ব বাড়ানো হল আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামীর।
শুক্রবার রাজ্য কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃদুলবাবুকে রাজ্যের উদ্বাস্তু ও পুর্নবাসন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দলনেত্রীর এই সিদ্ধান্তকে পুরনো তৃণমূলকর্মীদের প্রতি বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলীয় কর্মীদের একাংশের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, মৃদুল গোস্বামী-সহ দলের পুরনো নেতাদেরকে দলীয় রাজনীতিতে ব্রাত্য করে রেখেছিলেন দলেরই একাংশ নেতা। মমতা বারবার বলেছেন, পুরনো তৃণমূল কর্মীদের দলীয় কাজে গুরুত্ব বাড়াতে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে এসে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যুব নেতৃত্বকে বার্তা দেন ঘরে বসে থাকা পুরনো তৃণমূল কর্মীদের সক্রিয় করতে। মৃদুলবাবুর খবর শুনে প্রবীণ তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার বলছেন, ‘‘এতে ঘরে বসে থাকা দলীয় নেতা কর্মীরা কাজ করার মনোবল ফিরবে।’’
মাস কয়েক আগেও আলিপুরদুয়ার জেলায় দলীয় কাজে মৃদুলবাবুকে সে ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। বিষয়টি যায় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও। তারপরেই জেলায় মৃদূলবাবুর গুরুত্ব বাড়ানো হয়। শুধু তাই নয়, নেত্রী রাজ্য কোর কমিটিতে জায়গা দেন মৃদুলবাবুকে। শুক্রবার বৈঠকে মৃদুলবাবুকে উদ্দেশ করে নেত্রী বলেন, “আরও দায়িত্ব দেব।” তার পরেই জানা যায়, উদ্বাস্তু ও পুর্নবাসন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য থাকা মৃদুলবাবুকে সেই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। মৃদুলবাবু বলেন, “দিদি দায়িত্ব দিয়েছেন কোর কমিটির বৈঠকে। আমি দায়িত্ব পালন করব।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃদুলবাবুর একাধিক অনুগামী জানান, দলে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে কিছুটা একঘরে ছিলেন মৃদুলবাবু। এমনকী, তিনি কোথাও মিটিং করলে জেলা নেতাদের একাংশ কৈফিয়তও চাইতেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মৃদুলবাবু বলেন, ‘‘কাজে কিছু অসুবিধে হচ্ছিল। তবে নেত্রী বিষয়টি জানেন।’’ আলিপুরদুয়ার জেলার বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মৃদুল বাবু উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সদস্য, পালস কমিটির সদস্য ছিলেন। এ বার উদ্বাস্তু ও পুর্নবাসন কমিটিরও দায়িত্ব পেলেন। খুশির বিষয়। উনি অভিজ্ঞ নেতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy