Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মেয়রকে হেনস্থার অভিযোগ

মেয়র জানান, গত ৩০ মে তাঁকে প্রথম জানানো হয় তিনবাতি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার কাজের জন্য পানীয় জলের পাইপ লাইন সরানোর দরকারের বিষয়টি। বোর্ড সভায় বিষয়টি তুলেছেন।

বচসা: বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় স্মারকলিপি দিতে এসে মেয়রের দফতরে তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতাদের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র

বচসা: বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় স্মারকলিপি দিতে এসে মেয়রের দফতরে তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতাদের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৩০
Share: Save:

স্মারকলিপি দিতে গিয়ে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে রঞ্জন শীলশর্মা, বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, কৃষ্ণ পাল, দুলাল দত্তের মতো একদল তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় মেয়রের দফতরের ঘটনা।

মেয়রের জানান, এ দিন বেলা ১টা নাগাদ বিরোধী দলনেতা তাঁকে ফোন করে জানান, স্মারকলিপি দেবেন। ধূপগুড়িতে ভোটের প্রচারে এ দিন মেয়র আড়াইটে নাগাদ বেরিয়ে যাবেন বলে জানান। এর পরেও পৌনে তিনটে নাগাদ, তৃণমূল কাউন্সিলররা তাঁর দফতরে যান। মেয়রের অভিযোগ, ঘরে ঢুকেই রঞ্জন শীলশর্মা, কৃষ্ণবাবুরা তাঁকে আক্রমণ করেন। শারীরিক ভাবে হেনস্থার চেষ্টা করা হয়। ঘরের মধ্যে বসে পড়ে তাঁকে ঘেরাও করবেন বলে ঘোষণা করা হয়। ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো, মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত, নুরুল ইসলামরা তৃণমূল কাউন্সিলরদের বোঝাতে সচেষ্ট হন। পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীরা।

মেয়র জানান, গত ৩০ মে তাঁকে প্রথম জানানো হয় তিনবাতি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার কাজের জন্য পানীয় জলের পাইপ লাইন সরানোর দরকারের বিষয়টি। বোর্ড সভায় বিষয়টি তুলেছেন। বুধবারও বৈঠক হয়। তৃণমূলের দাবি, বৈঠকে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের বাস্তুকার জানিয়েছে দেড় বছর আগে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। তা জানালে মেয়র ‘ধ্যুর! কথা বলব না’ বলে উঠে চলে যান। মেয়রের দাবি, ‘ধ্যুর! ইঞ্জিনিয়র বললেই হল?’ এ কথা তিনি বলেছেন। তৃণমূল কাউন্সিলরদের খারাপ কিছু বলেননি।

বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, রঞ্জন শীলশর্মা, কৃষ্ণ পালদের অভিযোগ, মেয়র এবং জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ জয় চক্রবর্তী বিষয়টি চেপে রেখে ছিলেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পানীয় জল বন্ধ হলে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তাই পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করা যাবে না। আবার এশিয়ান হাইওয়ের কাজও বন্ধ করা চলবে না। দুইয়ের কোনওটি আটকালে তার দায় মেয়রকেই নিতে হবে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা অভব্য আচরণ করিনি। মেয়রই ‘ধ্যুর! কথা বলব না’ বলে খারাপ ব্যবহার করেন। মেয়র এবং জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ পদত্যাগ করুন। আমরা তাঁর সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE