Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিশু পাচার কাণ্ডে নাম, ক্ষুব্ধ কৈলাস

জলপাইগুড়ির শিশু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি৷ কিন্তু জুহি চৌধুরী বা চন্দনা চক্রবর্তীদের গ্রেফতারের পরই গোটা ঘটনায় বিজেপির দুই নেতানেত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৩:৫০
Share: Save:

শিশু পাচার-কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷

বৃহস্পতিবার লাটাগুড়িতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, “ক্ষমতা থাকলে রাজ্য সরকার প্রমাণ করুক জুহি চৌধুরী বা অন্য কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল৷” ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও এ দিন দাবি তোলেন কৈলাস৷

জলপাইগুড়ির শিশু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি৷ কিন্তু জুহি চৌধুরী বা চন্দনা চক্রবর্তীদের গ্রেফতারের পরই গোটা ঘটনায় বিজেপির দুই নেতানেত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়৷ তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার সঙ্গেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় এও বলেন, ‘‘ঘটনার সিবিআই তদন্ত হলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে৷ রাজ্য সরকার যদি সিবিআই বা কেন্দ্রীয় কোনও তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত না করায় তাহলে ভাবব নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থেই ওরা বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে৷’’ এখানেই না থেমে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘‘আগামী দিনে আমি প্রমাণ করে দেব সরকার কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছে৷ খুব শীঘ্রই এই সরকারের অর্ধেক লোকের জায়গা হবে জেলে৷’’

‘বিস্তারক যোজনা’ নামের একটি কর্মসূচি চালু করতেই এদিন জলপাইগুড়ি জেলায় এসেছিলেন কৈলাস৷ তবে লাটাগুড়িতে দলের জেলা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তার বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়৷ যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন কৈলাস। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত স্থানীয় নির্বাচন এ রাজ্যে কখনই নিরপেক্ষভাবে হয়না৷ গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে শাসকদল, সরকার ও পুলিশ মিশে গিয়ে নিজের ইচ্ছায় কাজ করে৷’’ তবে নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েতে বিজেপি জয় পাবে বলে দাবি করেন কৈলাস৷

এ দিন রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন কৈলাস। তিনি বলেন, ‘‘ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে পাঠক্রমের পরিবর্তন করে শিক্ষাতেও তোষণের রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার৷ এর বিরুদ্ধে বিজেপির নেতা কর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি৷’’ বৈঠকে চা বাগানের বিষয়টও ওঠে৷ তা নিয়ে তাঁর অভিযোগ, চা বাগানের শ্রমিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না সেটা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের৷ কেন্দ্র বহুবার রাজ্যকে এটা স্মরণ করে দিলেও এখানকার সরকার তা নিশ্চত করতে ব্যর্থ৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE