Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জলপাইগুড়িতে মিড ডে নিয়ে নালিশ এজির

সরকারি স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ জানাল খোদ রাজ্যের প্রধান অ্যাকাউন্টেট জেনারেলের দফতর। জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের মিড ডি মিলের অ্যাকাউন্টে থাকা লক্ষাধিক টাকার হিসেব মিলছে না বলে অভিযোগ। ২০১০ সাল থেকে একাধিক অনিয়ম চিহ্নিত করে এক গুচ্ছ প্রশ্ন পাঠিয়েছে এ জি বেঙ্গল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৮
Share: Save:

সরকারি স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ জানাল খোদ রাজ্যের প্রধান অ্যাকাউন্টেট জেনারেলের দফতর। জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের মিড ডি মিলের অ্যাকাউন্টে থাকা লক্ষাধিক টাকার হিসেব মিলছে না বলে অভিযোগ। ২০১০ সাল থেকে একাধিক অনিয়ম চিহ্নিত করে এক গুচ্ছ প্রশ্ন পাঠিয়েছে এ জি বেঙ্গল। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার মন্তব্য, এ জি বেঙ্গলের প্রশ্ন প্রসঙ্গে তাঁদের কোনও মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

পদাধিকার বলে জেলাশাসক এই স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান। জেলাশাসকের প্রতিনিধি দল স্কুলে গিয়ে নথিপত্রও দেখেছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে পদক্ষেপ হিসেবে একসময়ে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে চিঠি পাঠিয়ে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছ। ওই শিক্ষিকার পাল্টা দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তাঁকে এই বিষয়ে জড়ানো হয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বরে এ জি বেঙ্গল লিখিত ভাবে (মেমো নম্বর এ কিউ ০৫) জানায় স্কুলের মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার হিসেব নেই। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্ট থেকে কর্মীদের পড়ুয়াদের খাবার রান্নার বাজার সহ নানা খরচ দেওয়া হয়েছে। যার কোনও সংস্থান নেই।

স্কুলের তরফে এ বিষয়ে নিজেদের একটি সিদ্ধান্ত দেখানো হলেও এ জি বেঙ্গল জানিয়েছে ওই নির্দেশের কোনও বৈধতা নেই। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বরাদ্দের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে রেখেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে শুধু মিড ডে মিলের জন্য (সিএসডিএম) অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও বরাদ্দ টাকা ফেরত আনা হয়নি। যা পুরোপুরি অনিয়ম বলে দাবি এ জি বেঙ্গলের। কেন এবং কার দোষে এই অনিয়ম হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে এজি বেঙ্গল।

ওই চিঠিতে জানিয়েছে, স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের ১২৭৩ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৯৯৬ জন ছাত্রীর পুষ্টির জন্য যে পরিমাণ শাক-সব্জি কেনা উচিত ছিল, তা হয়নি। এ নিয়ে বর্তমান স্কুল কর্তৃপক্ষকেও দুষেছে এ জি বেঙ্গল। যদিও পুষ্টির প্রয়োজন মতো বরাদ্দ স্কুলের তহবিলে ছিল বলে তাঁদের দাবি। স্কুল সূত্রের খবর, বর্তমান সহ প্রধানশিক্ষিকা তথা আগে যিনি প্রধানশিক্ষিকার দায়িত্বে ছিলেন ভাস্বতী পাকড়াশির কাছে এ বিষয়ে নানা তথ্য জানতে চেয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভাস্বতীদেবীর দাবি, ‘‘আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ বিষয়ে জড়ানো হয়েছে। স্কুলের যিনি বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা রয়েছেন তিনিই সব বিষয়ে উত্তর দেবেন।’’

বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা সাগরিকা দত্ত জানান, তিনি সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করবেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।‘‘ এ জি বেঙ্গলের রিপোর্ট পেয়ে উদ্বেগে রয়েছে জেলা প্রশাসনও। সরকারি স্কুল হওয়ায় অনিয়মের দায়ে যে কোনও সময়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের জবাবদিহি করতে হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত তদন্ত করে অনিয়মের কারণ এবং কে দায়ী তা খুঁজে বের করতে স্কুলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জেলা প্রশাসনও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mid day meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE