প্রতীকী ছবি।
ফের বিতর্কে মালদহের সামসি কলেজ। এ বার নবীনবরণ অনুষ্ঠানে খরচের জন্য টাকার দাবিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও এবং নিগ্রহের অভিযোগ উঠল টিএমসিপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় সামসি কলেজে। বুধবার সকালে অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রের নামে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহাব। এর মধ্যে একজন কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস। যদিও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জিএস নাসিরউদ্দিন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস।
জানা গিয়েছে, পুজোর আগে সামসি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। আইনশৃঙ্খলার কারণে সেই অনুষ্ঠান শেষ মুহূর্তে বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলেজের প্রশাসক তথা চাঁচলের মহকুমা শাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজে এখন পুজোর ছুটি চলছে। তবে চলতি মাসে যেহেতু ন্যাকের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসছেন, তাই প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ওইদিন কলেজ খোলা রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, কলেজের জিএস নাসিরউদ্দিন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ইমরান আলির নেতৃত্বে বিকেল চারটে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয়। রাত আটটা নাগাদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহাব ঘর থেকে বের হতে গেলে ওই দুই ছাত্র নেতা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, “যাবতীয় কিছু দেখছেন মহাকুমাশাসক। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারপরেও দুই ছাত্র আমাকে নিগ্রহ করেছে। তাই থানাতে আমি লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।” যদিও নাসিরউদ্দিনের দাবি, “শেষ মুহূর্তে নবীনবরণ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আমরা বায়না করে দিয়েছিলাম। সেই টাকার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করেছিলাম।” চাঁচলের মহাকুমাশাসক দেবাশিসবাবুর আশ্বাস, বায়না বাবদ ছাত্রদের খরচ হলে তা বিল করে পেশ করা হোক। বিল খতিয়ে দেখে খরচের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
বছর খানেক আগেই ওই কলেজের এক অধ্যাপিকার উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করায়, নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ফের ওই কলেজের অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষা মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy