সরগরম: ইদের কেনাকাটা ও সাজছে রথ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
কোথাও বসছে মেলা। কোথাও রকমারি আলোর ঝলকানি। ইদ ও রথ ঘিরে আনন্দে মেতে উঠেছে কোচবিহার। ইদের দিন জমিয়ে দাওয়াত পাচ্ছে গৌতমরা। আবার রথের মেলায় একসঙ্গেই ঘুরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে আলম, রতন।
তাঁদের কথায়, “একসঙ্গেই ছোট থেকে বড় হয়েছি। এ ভাবেই আমরা একে অপরের অনুষ্ঠানে সামিল হই। বিশেষ করে ইদ ও রথ প্রায় প্রতি বছর একসঙ্গেই পড়ে। সেই আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করি।”
আজ, রবিবার রথযাত্রা। কোচবিহারে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহনের রথ মন্দির থেকে বেরিয়ে কোচবিহারের বিশ্বসিংহ, রোড, সুনীতি রোড হয়ে ‘মাসির বাড়ি’ গুঞ্জবাড়ির ডাঙ্গোরাই মন্দিরে পৌঁছবে। সেখানে সাত দিন ধরে চলবে মেলা। ইতিমধ্যেই দোকানিরা পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলা বসবে মদনমোহনবাড়ি চত্বরেও। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের এক কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “রথের দিন হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকেই ভিড় করেন মন্দিরে। খুবই আনন্দ হয়।”
ওই দিন ইসকনের রথও রাস্তায় বেরোবে। তা নিয়েও চলছে প্রস্তুতি। কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “একই সময়ে দু’টি অনুষ্ঠান হওয়ায় শহরে এক অন্য আনন্দ এনে দিয়েছে।’’
ইদ উপলক্ষেও একই রকম ভাবে সেজে উঠেছে নানা এলাকা। দেওয়ানহাট, চার নম্বর, মসজিদ পাড়া, হরিণচওড়া, নেতাজি স্কোয়্যার-সহ শহরের নানা জায়গায় আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রাজ শহরের পুরনো মসজিদ, নতুন মসজিদ, রেলঘুমটি মসজিদ সহ নানা মসজিদে নমাজ পড়াবেন ইমামরা। তা নিয়েও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। দেবোত্তর ট্রাস্টের আওতাধীন হরিণচওড়ায় তোর্সা পীরের ধাম এলাকার দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিলি করা হবে।
কোচবিহার নতুন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “এ বারে ইদ ঘিরে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মিলন অভূতপূর্ব। আমি নিজের জীবনে এ বারের মতো ইফতারের আয়োজন আগে দেখিনি। ইদও মিলেমিশেই পালন করব।”
কোচবিহার ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য খোকন মিয়াঁ বলেন, “আমাদের হিসেবে সোমবার ঈদ। আর রবিবার রথের মেলা। সবাই মিলেই আনন্দ ভাগ করে নেব।” ঘুঘুমারির বাসিন্দা গৌতম দাস, নুর আলম হোসেন, রতন দেরা বলেন, “আমাদের আনন্দ করা শুরু হয়ে গিয়েছে।” দু’দিনই পুলিশি নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy