পাশাপাশি: মেয়র, ঋতব্রত ভট্টাচার্য ও মুন্সি নুরুল ইসলাম।—নিজস্ব চিত্র
পুরবোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে দলের অন্দরেই যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জমছে, তা স্পষ্ট হল সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির বৈঠকে।
দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে অনিল বিশ্বাস ভবনে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সামনেই এক জন প্রবীণ কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, তাঁর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ শোনা যায় কয়েক জন কাউন্সিলরের মুখেও। তা নিয়ে আপত্তি জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের কয়েক জন। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, বচসার সময়ে এক জন ‘এ ভাবে চললে বোর্ড ভেঙে যাবে’ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বাদানুবাদ শুরু হলে খোদ রাজ্য সম্পাদককে হস্তক্ষেপ করে উভয়পক্ষকে শান্ত করতে হয়।
দল সূত্রেই জানা গিয়েছে, সূর্যকান্তবাবু সেখানে সব শোনার পরে স্পষ্ট জানান, শিলিগুড়ি পুরবোর্ড যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদ অবধি থাকে, সে জন্য সকলকেই মিলেমিশে পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি জানিয়ে দেন, বর্তমান মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে সামনে রাখতে হবে। তবে দলের মধ্যে যাঁদের ক্ষোভ জমেছে, তা দূর করতে সকলকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন বলে দলের একাধিক নেতা জানান।
অশোকবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘গণ্ডগোলের খবর ঠিক নয়। দলের জেলা কমিটির বৈঠকে নানা বিষয়েই আলোচনা হয়ে থাকে। এ বার মূলত সাংগঠনিক কাঠামো জোরদার করার উপরেই আলোচনা হয়েছে।’’ প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান ডেপুটি মেয়র মুন্সি নুরুল ইসলামও দাবি করেছেন, তেমন কিছু হয়নি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মূলত পার্টির প্লেনাম, সাংগঠনিক প্রস্তুতি বিষয়ক কথাবার্তা হয়েছে।’’
সিপিএমের অন্দরের খবর, মূলত নবান্ন অভিযান, পার্টি প্লেনামের প্রস্তুতি ইত্যাদি ছিল আলোচ্য বিষয়। কিন্তু, সেখানে পুরসভা নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ-অভিযোগ, বিরোধীদের তরফে বোর্ড ভাঙার চেষ্টা সংক্রান্ত বিষয় ওঠে। তখনই বোর্ড পরিচালনা নিয়ে সরব হন এক প্রবীণ নেতা-সহ কয়েক জন। রাতে দলের জেলা কমিটির একাংশ একান্তে মানছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই প্রাক্তন মেয়র আর বর্তমানের মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তার বহিঃপ্রকাশ যে রাজ্য সম্পাদকের সামনে এ ভাবে পড়বে, সেটা তাঁরা ভাবতে পারেননি। তবে দল ও প্রশাসন চালাতে গেলে সব দলেই অল্পবিস্তর মতভেদ থাকে। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, ‘‘আলোচ্য বিষয়ের বাইরে তেমন কথা হয়নি। যাঁরা ‘অল্পস্বল্প গণ্ডগোলের’ উল্লেখ করছেন, তাঁরা একটু বেশিই বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy