রোজ এমন যানজটে ভুগতে হয় বািসন্দাদের। — মনোজ মুখোপাধ্যায়
পুজোর পর থেকেই মালদহের ইংরেজবাজার শহরে টোটো চলাচলে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
আঞ্চলিক জেলা পরিবহণ বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভা ও আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর যৌথভাবে সমীক্ষা করে যে টোটোগুলিকে চিহ্নিত করেছে সেগুলিই শুধু পুজোর পর থেকে শহরে চলবে। যে ২৫টি রুটে টোটো চলাচল করতে পারবে, সেই রুটের নকশা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা গিয়েছে। শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
এদিকে পুজোর পরে টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির এই সিদ্ধান্তে অখুশি শহরের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এখনই এই সিদ্ধান্ত লাগু হলে পুজোর সময় যানজট থেকে রেহাই মিলত।
জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী অবশ্য বলেন, ‘‘শহরের যে ২৫টি রুটে টোটো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে সেই রুটগুলিতে কোন কোন টোটো চলবে তা চিহ্নিত করতে সময় লাগবে। তাই পুজোর আগে টোটো নিয়ন্ত্রণ সেভাবে সম্ভব নয়। তবে পুজোর দিনগুলিতে যাতে যানজট না হয় তারজন্য শহরের বেশ কিছু রাস্তা নো-এন্ট্রি করা থাকবে।’’ পাশের পুরাতন মালদহ পুরসভাতেও একই ব্যবস্থা পরবর্তী পর্যায়ে চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
যানজট রুখতে ইংরেজবাজার শহরের একাধিক রাস্তাকে একমুখি করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এর জেরে শহরের যানজট বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাই পুজোর মুখে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ী মহল। শহরবাসীর অভিযোগ, প্রচার না করেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে একমুখি করা হয়েছে। এর ফলে পথে নেমে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ব্যবস্থায় যানজট বাড়ছে আরও।
যানজট রুখতে শহরে যানবাহনের সংখ্যা কমানোর দাবি তুলেছে বিভিন্ন মহল। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘পুজোর মুখে শহরের বিভিন্ন রাস্তা একমুখি হয়ে যাওয়ায় লাগাম ছাড়া যানজটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। কারণ সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় দোকানের মুখ ঢেকে যাচ্ছে। শুধু রাস্তা একমুখি করলেই হবে না, শহরে টোটোর সংখ্যা কমাতে হবে।’’
এই বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, ‘‘যানজট রুখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একমুখি রাস্তা করা হয়েছে। শুরুতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে শহরের যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হবে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘একমুখি রাস্তা নিয়ে প্রচার করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দু’মাসের জন্য এমনটা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সপ্তাহ দুয়েক আগেই ইংরেজবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিকে একমুখী করার উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy