বয়স্ক কাউকে দেখে সটান পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। জোড় হাত এবং হাসিমুখতো ছিলই। সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত রায়গঞ্জের পালপাড়া, অশোকপল্লি এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে এ ভাবেই প্রচার চালালেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি।
শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী আল্পনা পাল। আল্পনাদেবীর প্রতিদ্বন্দ্বী পুরসভায় তৃণমূলের বিদায়ী বিরোধী দলনেতা প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী স্বাতীদেবী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ বারের ভোটে প্রার্থীদের কয়েকজন দল ছেড়ে গেলেও তৃণমূলকে লড়াইয়ে এক ইঞ্চিও ছেড়ে দেওয়া হবে না, এই বার্তা দিতেই দীপাদেবী এই ওয়ার্ডকে বেছে নেন।
আজ বুধবার রায়গঞ্জে এসে বাড়ি-বাড়ি প্রচার চালানোর কথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর। কংগ্রেসের বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তের ওয়ার্ডে প্রচার চালাবেন শুভেন্দু। তার আগের দিন পুরভোটে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’র খাস তালুকে প্রচার চালালেন দীপাদেবী।
ওই ওয়ার্ডটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে বিদায়ী পুরবোর্ডের তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। দল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রীকে। শুভেন্দুর সফরের সঙ্গে এ দিন তাঁর প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দীপা দেবী দাবি করেও পরিবহণ মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমার বাড়ি কালিয়াগঞ্জে। তাই সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য হিসেবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছি। আমাকে মেদিনীপুর থেকে ছুটে আসতে হয়নি। এ দিন থেকে প্রচারের শেষদিন পর্যন্ত আমি সমস্ত ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সমর্থনে টানা প্রচার চালাব।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘ভোট আসলেই দীপাদেবী দিল্লি থেকে উড়ে এসে বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করতে শুরু করেন। এ বছর অবশ্য তেমন করেও কোনও সুফল কংগ্রেস পাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy