Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্বিচারে রেফার ঠেকাতে আলোচনা বৈঠকে

অপ্রয়োজনেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ রোগীদের রেফার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে আপত্তি ওঠায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসকদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৬
Share: Save:

অপ্রয়োজনেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ রোগীদের রেফার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে আপত্তি ওঠায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসকদের একাংশ।

হাসপাতালেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বিভাগে ৪২৮১ জন ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে প্রায় দু’ হাজার জন ভর্তি হয়েছেন মেডিসিন বিভাগে। গত এক বছরে অন্তর্বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ শতাংশ। মেডিসিন বিভাগে সেই বৃদ্ধি ১৭ শতাংশ। মেডিসিনে চিকিৎসক রয়েছেন ৪ জন। তাঁদের উপর তাই চাপও বেশি। কোনও কোনও দিন এক জন চিকিৎসকের অধীনে ৭০/৮০ জন রোগীও ভর্তি হচ্ছেন। গত মাসে জরুরি বিভাগে ৫১৯৪ জন রোগী এসেছেন।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেডিসিন, শল্যর মতো কয়েকটি বিভাগের রেফার কম করার জন্য বলা হয়েছে। হাসপাতালের পরিষেবার মান ভাল হওয়াতেই মানুষ বেশি করে আসছেন।’’ তিনি জানান, প্রসূতি বিভাগে ডিপ্লোমা অব ন্যাশনাল বোর্ড (ডিএনবি) কোর্স চালু হতে চলেছে। তাতে ৪ জন বাড়তি চিকিৎসক মিলবে যাঁরা এমডি বা এমএস স্তরের ওই কোর্স করাবেন। পরবর্তীতে মেডিসিন-সহ অন্য বিভাগেও ওই কোর্স চালু করা গেলে একই ভাবে চিকিৎসক মিলবে। তাতে হাসপাতালের পরিষেবা দেওয়ার কাজেও অনেক সাহায্য মিলবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, শল্য বিভাগে ৩ জন এবং প্রসূতি বিভাগে ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। জেলা হাসপাতাল হিসাবে মেডিসিন-সহ ওই বিভাগগুলিতে ওই সংখ্যক চিকিৎসকের পদ-ই রয়েছে।

হাসপাতালে পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান রুদ্রবাবু। এ বছর রাজ্যে কায়াকল্প প্রকল্পে সেরা হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। সে কারণে ৫০ লক্ষ টাকা তারা পাবে। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নিয়ম মাফিক তার ২৫ শতাংশ টাকা চিকিৎসক-কর্মীদের উৎসাহভাতা দেওয়া হবে। বাকি টাকা হাসপাতালের উন্নয়নে খরচ করা হবে।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্তের প্লাজমা, প্লেটলেট সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যবস্থা চালু করতে রক্তের বিভিন্ন কণিকা পৃথক করার যন্ত্র আনা হচ্ছে। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘ওই কাজের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কের পরিকাঠামো সংস্কার করা হচ্ছে। রক্তের বিভিন্ন উপাদান পৃথক করে রোগীদের প্রয়োজন মতো দেওয়ার ব্যবস্থা এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেই হবে।’’ হাসপাতালের বিদ্যুৎ খরচ মাসে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো। তা কমাতে ‘এলইডি’ আলো লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doctors Patients Referring Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE