Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফিরলেন অসুস্থ বৃদ্ধা

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোচবিহার থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকেরা। প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় হারান প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে খুশি তাঁর পরিজনেরা। তেমনি আশ্বস্ত কোচবিহারের বাসিন্দা যুবকেরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

ফেসবুকের সৌজন্যে বাড়ি ফিরলেন ‘নিখোঁজ’ এক বৃদ্ধা। মেখলিগঞ্জের ডাঙারহাটের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম ললিতা সাহা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোচবিহার থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকেরা। প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় হারান প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে খুশি তাঁর পরিজনেরা। তেমনি আশ্বস্ত কোচবিহারের বাসিন্দা যুবকেরাও। যারা ফেসবুক পোস্টে ওই ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। মেখলিগঞ্জের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। বৃদ্ধার যাতে সমস্যা না হয় দেখব।”

বাসিন্দারা জানান, ৩ জুলাই রাতে কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় অপরিচিত ওই বৃদ্ধাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এলাকার কয়েকজন যুবক। অর্ধাহার বিধ্বস্ত চেহারার ওই বৃদ্ধাকে দেখে প্রথমে ঠিকানা হারিয়েছেন বলে তাদের কয়েকজনের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, মহিলার নাম, ঠিকানা। সেসময় পারিবারিক অবহেলা, অশান্তির জেরে বেরিয়ে এসেছেন বলে দাবি করেছিলেন। ওই রাতেই তারা খাবারের ব্যবস্থা করে পেট্রল পাম্পের লাগোয়া এলাকায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি ঘটনাটি নিয়ে ‘ফেসবুক লাইভ’ করেন রাজা বৈদ নামের এক যুবক। দীপ্তেন্দু দে নামে অন্য এক যুবক বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট দেখেই মেখলিগঞ্জের দেবজ্যোতি রায় লস্কর নামে এক যুবক যোগাযোগ করতে শুরু করেন। তার মাধ্যমেই ডাঙারহাটের বাসিন্দা রবি সাহা বৃদ্ধার বাড়িতে খবর দেন।

বৃদ্ধার পরিবারের লোকদের অবশ্য দাবি, ললিতা দেবী মানসিক অবসাদে ভুগছেন। জলপাইগুড়িতে তাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত ওষুধ খাওয়ান যেত না। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মীয়দের কাছে যেতেন তিনি। কিছুদিন পরে ফিরেও আসতেন। তাই পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। বৃদ্ধার ছেলে ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, “বাড়িতে কোনও অশান্তি নেই। আগেও এ ভাবে একা চলে গিয়েছিলেন। আবার ডাক্তার দেখাব।”

ওই বৃদ্ধাকে দুদিন নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন মান্টু দাশগুপ্তপল্লির বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাস। খুশি তিনিও। ললিতাদেবী বলেন, “একা চলে এসেছিলাম। সবাই খুব সাহায্য করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE