গ্রেফতার: মালদহ আদালত চত্বরে দুলাল। —নিজস্ব চিত্র।
জাল নিয়োগপত্র নিয়ে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে যোগ দিতে এসে গাজলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক যুবক।
অভিযোগ, সোমবার মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান আশিস কুণ্ডুর সাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র নিয়ে গাজলের পাণ্ডুয়া সার্কেল অফিসে যোগ দিতে যান ওই যুবক। নিয়োগপত্রে চেয়ারম্যানের সাক্ষর দেখে সার্কেলের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। সংসদের চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে ওই যুবককে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গাজল থানার পুলিশ। ধৃতের নাম দুলাল হোসেন। তাঁর বাড়ি রতুয়া থানা এলাকার রাধানগর গ্রামে।
মঙ্গলবার ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ঘটনার পেছনে বড়সড় কোনও চক্র জড়িয়ে রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।’’
সংসদ সূত্রে খবর, সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ পাণ্ডুয়া সার্কেল অফিসে একটি নিয়োগপত্র নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দিতে যান দুলাল। সেই নিয়োগপত্রে তাকে আকালপুর ২ প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২৪ জুলাই থেকে ২৪ অগস্টের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে। পাণ্ডুয়া সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বৌধায়ন বিশ্বাস গাজোল সার্কেলেরও পরিদর্শক। বৌধায়নবাবু বলেন, ‘‘ওই নিয়োগপত্রে চেয়ারম্যানের সাক্ষর দেখে আমার সন্দেহ হয়। পাশাপাশি ওই নিয়োগপত্রের সঙ্গে আসল নিয়োগপত্রের লেখার হরফেরও মিল ছিল না। এছাড়া আমাদের কাছে নয়া কোনও নিয়োগের ব্যাপারে সংসদ থেকে কোনও চিঠি বা মেলও পাঠানো হয়নি।’’ ওই যুবককে তিনদিন পর এসে দেখা করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি তখনই বিষয়টি সংসদের চেয়ারম্যানকেও জানান।
আশিসবাবু বলেন,‘‘পাণ্ডুয়া সার্কেলের পরিদর্শকের মাধ্যমে সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানি। এই পদে যোগ দেওয়ার পর আমি কাউকে কোনও নিয়োগপত্র দিইনি। ফলে আমার সাক্ষর জাল করে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক শিক্ষক পদে যোগ দিয়ে যায়।’’ রাতেই মেল করে গাজোল থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আশিসবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমার সন্দেহ এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে। পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy