Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সামলে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার দিনই নানাভাবে দুর্ভোগ শিকার হলেন উত্তরবঙ্গের নানা জেলার পরীক্ষার্থীরা। কোথাও ঝড়-বৃষ্টি কোথাও দুর্ঘটনার জেরে আটকে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। ঝড়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায় কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রেও। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা কাটিয়ে হল মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৮
Share: Save:

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার দিনই নানাভাবে দুর্ভোগ শিকার হলেন উত্তরবঙ্গের নানা জেলার পরীক্ষার্থীরা। কোথাও ঝড়-বৃষ্টি কোথাও দুর্ঘটনার জেরে আটকে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। ঝড়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায় কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রেও। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা কাটিয়ে হল মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা।

এ দিন আচমকা ঝড় বৃষ্টিতে নাকাল হল ডুয়ার্স। বেনা ২টোর পরেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে মালবাজার, ওদলাবাড়ি, ডামডিম এলাকা জুড়ে। শুরু হয় বৃষ্টি। ঝড়ের কারণে বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। স্কুলের তরফে মোমবাতি কিনে এনে সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। এ দিন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের চাকলা সেতু এলাকায় ইটাহার-চাঁচল রাজ্য সড়কে এক দুর্ঘটনায় আহত হয় তিন পড়ুয়া। আহতদের নাম মেরিনা পারভীন, মিঠুন আলি ও দুলাল আলি। তাদের বাড়ি ইটাহারের গুলন্দর পঞ্চায়েত এলাকায়।

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় তাদের ভুটভুটিতে একটি বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারলে ভুটভুটি উল্টে যায়। স্থানীয়রাই তাদের ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে মেরিনা ও মিঠুনকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। পরে পুলিশ ও পর্ষদের প্রতিনিধিদের নজরদারিতে ওই তিনজন পরীক্ষা দেন।

ইটাহারের কাপাসিয়া হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আচমকা অচেতন হয়ে পড়ে জাসমিন খাতুন। সে চূড়ামণ হাইস্কুলের ছাত্রী। অভিভাবকেরা তাকে ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরীক্ষা দেয় সেও। মাথাভাঙাতেও এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেটের অসুখে আক্রান্ত ওই ছাত্র কৌশিক রায় বসুনিয়া মাথাভাঙা হাসপাতালে পরীক্ষা দেয়।

যানজটেও ভোগান্তি হয় এ দিন। জয়গাঁ এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ যানজটে আটকে পড়েন শিক্ষকরা। এ দিন ভারত ও ভুটানের দু’টি সংস্থার উদ্যোগে যৌথ ম্যারাথন হয় কালচিনির মধু চা বাগান থেকে ভুটানের ফুন্টশেলিং পর্যন্ত। ম্যারাথনের জন্য বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন হাসিমারার কয়েকজন স্কুল শিক্ষক।

যদিও এই অসুবিধএর কথা মানতে চাননি আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, গাড়ি চলাচলের আলাদা জায়গা ছিল, তাই অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।

প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করছিলেন শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী নিকিতা গোসাই। শিলিগুড়ির ইলাপাল মেমোরিয়াল হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্রী। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা তথা শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দত্ত জানান, ওই ছাত্রীর আসন পড়েছিল দোতলার একটি ঘরে। অসুস্থ বোধ করায় তাকে নিচ তলায় নামিয়ে আনা হয়। কথা বলে বোঝা যায় খাওয়া-দাওয়ার সমস্যায় অসুস্থ বোধ করছেন। তাকে হজমের ওষুধ দেওয়া হয়। মিনিট পনরো পরে ঠিক হলেও ‘সিক রুম’ বসেই পরীক্ষা দিয়েছে ওই ছাত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Secondary Examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE