বৈঠক: শিলিগুড়ির মৈনাক অতিথি নিবাসে। —নিজস্ব চিত্র।
কখনও অভিযোগ মর্জিমাফিক গাড়িভাড়া নিয়ে, কখনও নালিশ হোটেল ভাড়া নিয়ে।
পাহাড়ে গরমের মরসুম শুরু হতেই পর্যটকদের এমন নানা অভিযোগে জেরবার পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি সরকারি অতিথি নিবাস মৈনাকে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পর্যটনমন্ত্রী। হোটেল, গাড়ি এবং পর্যটন সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘পর্যটন বোর্ড’ তৈরি করা হবে। সেই জেলার পর্যটন এবং পর্যটকদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা, সমস্যা বোর্ড দেখবে। পর্যটন দফতর, প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকরা বোর্ডে থাকবেন। এই বোর্ড তৈরি হতে কিছু দিন সময় লাগবে। ততদিন আপৎকালীন ভিত্তিতে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। পর্যটকদের অভিযোগ জানানোর ওয়াটসঅ্যাপ নম্বর, বাস স্ট্যান্ড-বিমানবন্দর ও স্টেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি বসানো এবং বছরে অন্তত ছ’মাস হেল্প ডেক্স চালুর নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
গাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গ আসতেই পর্যটন সংগঠনগুলির সদস্যরা জানান, প্রিপেড গাড়ি ভাড়ার রেট-চার্টটি ২০০৮ সালে তৈরি। সেই ভাড়ায় এখনও গাড়ি চালানোয় লোকসান হচ্ছে। এর সুযোগে এক শ্রেণির চালক মর্জিমাফিক ভাড়া নিচ্ছেন। বিষয়টি শোনার পর ভাড়ার তালিকা দ্রুত সংশোধন করার জন্য তিনি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে কথা বলবেন বলে মন্ত্রী জানান।
সম্প্রতি জংশন এলাকায় একাধিক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেওয়া, টাকা নিয়ে গাড়ি না দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ ওঠে। তেমনিই, দার্জিলিং ও ডুয়ার্সে অত্যাধিক হারে ঘর ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও কর্তাদের কাছে পৌঁছায়। তেমনি নো রিফিউসাল ট্যাক্সি নিয়ে ৬১টি অভিযোগ পর্যটন দফতরে আসে। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন মন্ত্রী। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘ নানা অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে। গাড়ি স্ট্যান্ডে না রেখে কৃত্রিম অভাব তৈরি হচ্ছে। ঘর খালি নেই বলে বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy