বর্ম: গরম থেকে বাঁচতে। শিলিগুড়ির রাস্তায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
পাহাড়ে কুয়াশার হাতছানি চললেও উত্তরবঙ্গের সমতলের বেশ কিছু এলাকায় তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে।
দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেলের পরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় ম্যালে ঘুরছেন পর্যটকেরা। কিন্তু, উত্তরের আরেক প্রান্তের জেলা সদর বালুরঘাটে প্রবল দাবদাহে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। রোদের তাপে গাছ থেকে আম খসে পড়ছে মালদহে। শিলিগুড়িতে অবশ্য মাঝেমধ্যেই আকাশ ঢাকছে মেঘে। চলছে দু’এক পশলা বৃষ্টি।
মঙ্গলবার মালদহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি, বালুরঘাটে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন। যদিও শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুই শহরেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মতো গরমে অতিষ্ঠ মালদহের বাসিন্দারাও। এ দিন ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার সঙ্গে ছিল ৭২ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা। যার ফলে অস্বস্তি প্রবল বেড়ে যায়। এ দিন দুপুরের দিকে জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরের রাস্তা ছিল সুনসান। গরমে বিক্রি বেড়েছে ডাবের জল, লস্যি এবং বহুজাতিক সংস্থার ঠান্ডা পানীয়ের। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত মালদহ এবং বালুরঘাট এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
নরমগরম
বালুরঘাট • সর্বোচ্চ ৩৯ • আদ্রতা ৭১%
মালদহ • সর্বোচ্চ ৪০ • আদ্রতা ৭২%
রায়গঞ্জ • সর্বোচ্চ ৩৭ • আদ্রতা ৭৪%
জলপাইগুড়ি • সর্বোচ্চ ৩৩ • আদ্রতা ৮৩%
কোচবিহার • সর্বোচ্চ ৩২ • আদ্রতা ৮৬%
আলিপুরদুয়ার • সর্বোচ্চ ৩২ • আদ্রতা ৮৩%
দার্জিলিং • সর্বোচ্চ ১৯ •আদ্রতা ৯৩%
শিলিগুড়ি •সর্বোচ্চ ৩৪ • আদ্রতা ৭৩%
*তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসে
তবে এই প্রবল গরমে ক্ষতি হচ্ছে আম চাষেরও। গরমের জেরে আম ঝরে পড়ছে বলে দাবি মালদহের কৃষকদের। জেলা উদ্যানপালন দফতরের সহকারী অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গরম বাড়লে আম পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বৃষ্টি হলে এই সমস্যা থাকবে না। চাষিরা বৃষ্টির অপেক্ষায়।’’
মালদহ, বালুরঘাটের তুলনায় রায়গঞ্জের গরম ছিল তুলনায় কিছুটা কম। আগের রাতের ঝড়বৃষ্টির পরে এ দিন বাসিন্দাদের ধারণা ছিল, আবহাওয়া তুলনায় কিছুটা শীতল থাকবে। কিন্তু সকাল থেকে রোদের তাপে পুড়তে থাকে শহর। বিকেলে অবশ্য বাসিন্দাদের স্বস্তি দিয়ে আকাশ মেঘলা হয়ে যায় রায়গঞ্জের।
শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে সোমবার বিকেলে। মঙ্গলবার সকাল থেকে চড়া রোদ থাক থাকলেও, দুপুরের পর মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। দুপুরের পর রোদের তাপ কমে আসে জলপাইগুড়িতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy