Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেটে টান পশুদেরও

বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে শিলিগুড়িতে ডাকা সর্বদল বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

উদ্বেগ: এই পশুদের খাবার নিয়েই চিন্তা। ছবি: সৌমিত্র কুণ্ডু

উদ্বেগ: এই পশুদের খাবার নিয়েই চিন্তা। ছবি: সৌমিত্র কুণ্ডু

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০৩:৩৯
Share: Save:

এগারোটি তুষার চিতা। তিনটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। ব্ল্যাক-প্যান্থার-সহ গোটা পাঁচেক সাধারণ চিতাবাঘ। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই বাসিন্দাদের জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ কেজি মাংস দরকার। কিন্তু মোর্চার ডাকা টানা বন্‌ধের জেরে এদের খাবার জোগাড় করতে রীতিমতো হিমসিম অবস্থা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে শিলিগুড়িতে ডাকা সর্বদল বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন,‘‘বন্‌ধে শুধু মানুষই নয়, পশুদের খাবার জোগাড়েও সমস্যা হচ্ছে।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ, শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রতিদিন মাংস সরবরাহ করার কথা জানানো হয়েছে। বন্‌ধ চলাকালীন গাড়িতে করে সেই মাংস পৌঁছে দিতে কোনও রকম সমস্যা হলে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর পিয়ারচাঁদ জানান, বন্‌ধের জন্য চিড়িয়াখানার বুনো জন্তুদের খাবার পেতে সমস্যা দেখা দেয়। চিড়িয়াখানায় পাঁঠার মাংসের জোগান দিতে সরবরাহকারী নির্দিষ্ট সংস্থা রয়েছে। টেন্ডার ডেকেই তাদের বরাত দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘‘বন্‌ধের জেরে মাংস সরবরাহ করতে সমস্যার কথা জানায় সরবরাহকারী সংস্থা। সে কারণেই চিন্তায় ছিলাম। তবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আজ শুক্রবার থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ কেজি মাংস সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। তারা তা দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।’’

চিড়িয়াখানা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাহাড় থেকে ওই মাংস জোগাড় করতে সমস্যায় পড়েছে সরবরাহকারী সংস্থা। তা ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সমতলে শিলিগুড়ি বা অন্য জায়গা থেকে মাংস জোগাড় করে চিড়িয়াখানায় সরবরাহ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস মেলায় ঠিকাদার সংস্থাকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ কিলোগ্রাম পাঁঠার মাংস সরবরাহের কথা জানিয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

বাঘ, চিতাবাঘ, স্নো-লেপার্ড, একটি ব্ল্যাক প্যান্থার ছাড়াও গোটা পাঁচেক নেকড়ে, চারটি ভালুকও রয়েছে। মাংস দরকার তাদের জন্যও। তবে চিড়িয়াখানার তৃণভোজী প্রাণীদের খাবার জোগাড়ে এতটা সমস্যা নেই বলেই জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

food North Bengal Zoo দার্জিলিং
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE