পরিবহণে সক্রিয় দালাল চক্র
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় উত্তরবঙ্গের পাতায় জেলাশাসকের পরিবহণ দফতরের গাড়ির লাইসেন্সের জন্য ফর্ম বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে, সাধারণ মানুষের এই অভিযোগের শীর্ষক একটি খবর পড়লাম। কিন্তু এই সমস্যা নতুন কিছু নয়, যুগযুগান্ত ধরে চলে আসছে। আবার সক্রিয় দালাল চক্রের দাপট ও প্রবণতাও রয়েছে যা সমুলে উৎপাটিত করাও এ সময়েও সম্ভব নয়। কেন পরিবহণ দফতরের এই দশা, এর পিছনে দায়ী সাধারণ মানুষই, কারণ কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষ যাদের সময় নেই বলে বাড়তি টাকা দিয়ে দালালদের হাতে সমস্ত নথিপত্র দিয়ে নিজের কাজে চলে যান। যার প্রভাব পরে যায় দফতরের সমস্ত কর্মীর উপর। কথায় বলে, ‘‘রুপিয়া এইসান চিজ/ভগবান সে উনিশ-বিশ।’’ কারণ দালালরা দক্ষিণা দিয়ে দিয়ে লারনার ড্রাইভিং লাইসেন্স, চয়েস নম্বর, রেজিস্ট্রেশন সমস্ত কাজ করিয়ে নেন।
আমাদের পশ্চিমবাংলায় কিছু দফতরে দালালদের প্রভাব ও দৌরাত্ম্য রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোটর যান বিভাগ ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ। এই দুই বিভাগে বাপকে বেটা পর্যন্তও ছাড়ে না। আমার নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে বলি, শিলিগুড়ির কোনও এক ব্লকে আমি জমির মিউটেশন করতে গিয়েছিলাম। এক দালাল আমাকে বললেন দু’মাস সময় লাগবে। আমি বললাম দু’দিনে করে দেওয়া যায় না কারণ কোচবিহার থেকে এসেছি। তখন উনি বললেন, এক হাজার টাকা দিলে বিকেলেই পেয়ে যাবেন। নিমরাজি হবার আগে আমি একজন সরকারি কর্মচারীর পরিচয় দিতে পরে তা কমিয়ে ছয় শত টাকায় করে দেবেন বলা হয়। বাধ্য হয়েই দিতে বাধ্য হলাম কারণ শিলিগুড়ি ও কোচবিহারের বাসভাড়া ১১০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা, যাতায়াত খরচা দু’জনের দ্বিগুণ এবং হোটেলে থাকা-খাওয়া খরচা সব মিলিয়ে হাজারের উপর এই ভাবে রাজি হলাম। আসলে সরষেতেই ভূত, তাহলে কেন শুধুমাত্র দালালদের দোষারোপ।
অতএব আমার মনে হয় সরকারি মোটরযান বিভাগ। ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ কিংবা রেল দফতর এই জায়গাগুলিতে টপ টু বটম লাইসেন্স থেকে মিউটেশন কিংবা রেলের কনফার্ম টিকিট ঘুষ না দিলে এক দিনে পাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি অফিসের পরিকাঠামো ও সরকারি কর্মী সংকুলানের ফলে সাধারণ মানের পরিষেবা পাচ্ছে জনসাধারণ। আমার মতে ঘুষ ও দালালচক্র বন্ধ হোক।
ফাল্গুনী চক্রবর্তী। কোচবিহার।
দেখা মেলে ঘোড়ার গাড়ির
ঘোড়ার গাড়িতে করে চলছে কাঁচা সবজির পরিবহণ।—নিজস্ব চিত্র।
ঘোড়াশালে আর ঘোড়া থাকে না কারণ রাজ আমলই যে হারিয়ে গেছে। তবু ঘোড়া নামের জন্তুটি হরহামেশাই দেখা যায় উত্তরের চাতালে। ভুটভুটি, টোটো, রিকশাভ্যান চললেও দিনহাটার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আজও ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে। বিশেষ করে কাঁচা সবজি পরিবহণে এর ব্যবহার দেখা যায়। কাঠের চাকা নয়, টায়ার লাগানো চাকা লাগিয়ে ঘোড়া দিয়ে টেনে এই গাড়ি পরিবহণের কাজে লাগে। পশুর জন্য আইন থাকলেও আজও পশুদের দিকে আমাদের চোখ উপেক্ষিত থাকে।
শুভাশিস দাশ। দিনহাটা কোচবিহার।
পথবাতির ব্যবস্থা হোক
সংবাদে প্রকাশ রায়গঞ্জের বিধায়ক তাঁর বিধায়ক তহবিলের অর্থে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া পর্যন্ত পথ-বাতির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু রায়গঞ্জের সীমা সোনাবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একটি বিএসএফ ক্যাম্প। তাই মাননীয় বিধায়কের কাছে আমার আবেদন সোনাবাড়ি পর্যন্ত পথ-বাতির ব্যবস্থা করুন। এতে চিরবঞ্চিত সোনাবাড়ির মানুষরা উপকৃত হবেন।
সামিম আখতার বানু। সোনাবাড়ি, রায়গঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy