জাতীয় সড়কের ধারে মদের দোকানে তালা। ফলে ভিড় জমছে শহরের দোকানগুলিতে। আর আক্ষেপ করছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানগুলির মালিকেরা।
উত্তরবঙ্গের সব জেলার মতো জলপাইগুড়িতেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা পাওয়ার পরে একই ছবি। সরাসরি সরকারি কোনও নির্দেশ আসেনি। কিন্তু আবগারি দফতর মৌখিক ভাবে দোকান ও পানশালা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে। সেই মতো জাতীয় সড়কের ধারে ৬৬টি মদের দোকান ও বার বন্ধ ছিল এ দিন। একই সঙ্গে ওই সব দোকান ও পানশালার মালিকেরা নতুন জায়গা খুঁজতে শুরু করেছেন।
তবে স্থানীয় ভাবে একটি প্রশ্নও উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা তো আগেই জানতেন ওঁরা। তা হলে আগে থেকে কেন চেষ্টা করলেন না? সরাসরি জবাব না দিয়েও পানশালার মালিকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের উপরেও যে কোপ পড়বে, সেটা বোঝা গিয়েছে একেবারে শেষ দিকে। তখন আর হাতে সময় ছিল না।
তাঁদের মধ্যে আক্ষেপও ছিল যথেষ্ট। পাহাড়পুর এলাকার একটি বারের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘একেই তো নোট বাতিলের ধাক্কায় যথেষ্ট কঠিন সময় গিয়েছে আমাদের। ব্যবসা কমে গিয়েছে। তার উপরে জায়গার যা দাম, তাতে কী যে হবে বুঝতে পারছি না।’’
জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে মদের দোকান এবং পানশালা বন্ধ হওয়ায় কিন্তু অনেক ঘরেই খুশির হাওয়া। বাড়ির মেয়েরা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। মদ্যপদের জন্য অনেক সময়েই ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতে হতো সাধারণ মানুষকে। মদ খেয়ে প্রচণ্ড গতিতে মোটর বাইক চালানো নিয়ে বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ-অনুযোগ করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এখন খুশি, এই দাপট আর সহ্য করতে হবে না। যদিও আশঙ্কা রয়েছে, চোরাই পথে মদের জোগান ঠিকই চলবে।
এই আশঙ্কা প্রশাসনের মধ্যেও কিছুটা রয়েছে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন মুখে বলছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশমতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নজরদারিও চলছে। কিন্তু তাদেরও কারও কারও আশঙ্কা, চোরাই পথে ঠিকই মদ বিক্রি চলবে। অন্তত দোকান ও পানশালাগুলি যতদিন পর্যন্ত না নতুন জায়গায় দোকান খুলতে পারছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy