ছবি: সংগৃহীত
পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ বছর ৫০টি আসন কমিয়ে দিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। ১০০ আসনে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে তারা।
গত চার বছর ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মোট ১৫০ আসনে ভর্তি নেওয়া হলেও, কম সংখ্যক শিক্ষক-সহ পরিকাঠামোর বেশ কিছু ঘাটতির কথা বারবার উল্লেখ করছিল এমসিআই। কিন্তু প্রতিবারই কলেজ কর্তৃপক্ষ সেগুলি ঠিক করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছিল। কিন্তু শেষবার পরিদর্শনে এসেও বিভিন্ন খামতি নজরে আসে এমসিআই কর্তৃপক্ষের। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বক্তব্য জানানোর জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতেনই না বলে দাবি। এ মাসে গোড়ায় সাধারণ ডাকে এমসিআই-এর একটি চিঠি পেয়ে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। ততদিনে আবেদনের সময় পেরিয়ে গিয়েছে।
সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পর সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর কিছু ঘাটতির কথা জানিয়ে আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। পরের বছর যাতে ১৫০ আসনে ভর্তি করানো যায় তা দেখা হচ্ছে।’’
আজ, মঙ্গলবার থেকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ১০০ আসনে মধ্যে ১৫টি দেশব্যাপী অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার কোটা এবং ৪টি পিছিয়ে পড়া রাজ্যের কোটা। ২০১৩ সালে ১৫০ আসনের অনুমোদন মিললে যে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়েছিলেন তাদের এ বছর চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষ। ১৫০ আসনে অনুমোদন মেলার পরেই তাঁরা শংসাপত্র পাবেন। তাঁদের সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাই কর্তৃপক্ষ কেন যথা সময়ে ব্যবস্থা নেননি সেই প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘মে মাসের চিঠি আমরা জুলাই মাসে হাতে পেয়েছি। যোগাযোগ করলে জানতে পারি এমসিআই-এর ওয়েব সাইটে আগেই জানানো হয়েছিল। সাইটে কোথায় কী জানানো হচ্ছে তা প্রতিদিন নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমসিআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’ কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরও সময় মতো বিষয়টি জানতে পারেনি। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব বিষয়টি দেখতেন। তিনি বদলি হওয়াতেও সমস্যা হয়।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বার ১৫০ আসনের অনুমোদনের আর্জি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এসে শিক্ষক-অধ্যাপক পদে ২৫ শতাংশ খামতি থাকার কথা জানিয়েছিল এমসিআই। আসন কমানোর সেটাই মূল কারণ। সঙ্গে ওয়ার্ডে ছাত্রদের বোঝানোর জন্য আলাদা ক্লিনিক না-থাকার মতো বিষয়গুলিও রয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কথায়, এমসিআই-র নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সংখ্যায় শিক্ষক-অধ্যাপক থাকতে হবে। তাতে ১৭ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। অনেকে মাতৃত্বকালীন বা সেমিনারের জন্য ছুটিতে থাকায় তাঁদের হিসেবে ধরা হয়নি। বদলির জায়গায় নতুন শিক্ষকও মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy