জট কাটলো না। নিষ্ফলাই হল চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চুক্তি নিয়ে বৈঠক। দু’দিনের চা শিল্প ধর্মঘটে অনড় থাকল চা শ্রমিক সংগঠনগুলি।
শুক্রবার উত্তরকন্যায় চা শ্রমিকদের মজুরি চুক্তি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ছিল। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ন্যূনতম মজুরি চুক্তি ছাড়াও চা বাগানে অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ এবং রেশন নিয়েও এ দিন বৈঠক হয়। পরের এই দুটি বৈঠকই অবশ্য বেশিরভাগ শ্রমিক সংগঠন বয়কট করেন। চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের দাবি, ন্যূনতম মজুরি চুক্তি ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।
ন্যূনতম মজুরি কার্যকর করার দাবিতে আগামী ১২ এবং ১৩ জুন চা শিল্পে ধর্মঘট ডেকেছে যৌথ মঞ্চ। ১৩ জুন চা বলয়ে সাধারণ ধর্মঘট পালনের আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর এ দিনের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন শ্রমমন্ত্রী। মলয় ঘটক বলেন, ‘‘আলোচনা যখন চলছে তখন ধর্মঘট ডাকার কোনও অর্থ হয় না।’’ সে অনুরোধ অবশ্য মানতে চায়নি যৌথ মঞ্চ।
যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘দু’বছর ধরে রাজ্য সরকার ন্যূনতম মজুরি চুক্তি নিয়ে সদর্থক কোনও পদক্ষেপই করেনি। এখন অন্তর্বর্তী ত্রাণ সহ নানা কথা বলেছে যা নিয়ে সিংহভাগ সংগঠনই একমত নয়। ধর্মঘট থেকে সরে আসার কোনও কারণ নেই।’’ চলতি মাসে ফের মজুরি নিয়ে বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রম দফতর।
তবে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহার দাবি, আলোচনা এগোচ্ছে। মালিক ও শ্রমিক, দু’ক্ষই এ দিন তাদের মতামত জানিয়েছে। আলোচনা শেষ হওয়ার আগে দু’দিনের ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্য দিকে, চা শিল্পে ধর্মঘট এড়াতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করার জন্য আর্জি জানিয়েছে ইউটিইউসি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘শুক্রবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর রাজ্যে চা বাগানগুলিতে ডাকা ধর্মঘট এড়াতে অবিলম্বে রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা জরুরি। চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ঠিক করার জন্য দু’বছর আগে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। এখন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই পারেন সমস্যা মেটাতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy