করিডরেই চলছে মোটরবাইক। ছবি: সন্দীপ পাল
হাসপাতালের করিডরে মোটরবাইক নিষিদ্ধ করেই দায় সেরেছেন কর্তৃপক্ষ। অথচ তা মানা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর নেই বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করিডরে এক যুবককে মোটরবাইক চালাতে দেখে তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, এ দিন বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ প্রসূতি বিভাগের করিডরে ভিড়ের মধ্যে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। লোকজন বাধা দিলে সিদ্ধার্থ তামাঙ্গ নামে ওই যুবক নিজেকে হাসপাতালের এক কর্মীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে তাঁদের পাল্টা হুমকি দিতে শুরু করেন। অনেকেই করিডরে মোটরবাইক রাখেন বলে দাবি করে, তিনিও রাখবেন বলে জোর খাটাতে থাকেন।
ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা রুখে দাঁড়ান। করিডোরে অপেক্ষারতদের গায়ের উপর দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চেয়ে ঘিরে ধরেন ওই যুবককে। ফোন করা হয় হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের দফতরেও। কিন্তু সাড়া না মেলায় ক্ষিপ্ত রোগীর লোকজন ওই যুবককে করিডর থেকে নেমে যেতে বাধ্য করেন। অভিযুক্ত যুবক বলেন, ‘‘হাসপাতালের কর্মীদের অনেকেই ওয়ার্ডের কাছে করিডোরে মোটরবাইক রাখে। তাই আমার আত্মীয় তথা হাসপাতালের কর্মীর মোটরবাইকটি করিডোর দিয়ে নিয়ে গিয়ে এক জায়গায় রাখছিলাম।’’
হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘বারবার নোটিশ দিয়ে করিডোরে মোটরবাইক চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ কেউই কথা শুনছেন না।’’ করিডোরে মোটরবাইক রুখতে কী করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু জানাতেও পারেননি। এ দিন হাসপাতালের সুপারের দফতরের সামনের করিডোরেও বাইকের সারি দেখা গিয়েছে। কর্মী, চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দফতরের কর্মীরাই সুপারের কথা শুনছেন না তো বাইরের লোক শুনবেন কেন?
করিডোরে মোটরবাইক রাখা বা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। তাঁদের অনেকেই জানান, ঝড় জলেও তাঁরা কোনও দিন মোটরবাইক করিডোরে রাখেন না। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় করিডোরে দাঁড়ানোর বা হাঁটার অবস্থা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy