চা বাগান থেকে এক ব্যক্তির সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার মেটেলির সামসিং চা বাগানের টপ লাইন থেকে উদ্ধার হয় ওই দেহ। মৃত ব্যক্তির নাম বিকাশ সরকার (৫২)। বাড়ি জলপাইগুড়ির ১১নম্বর ওয়ার্ডের আদরপাড়াতে। তিনি জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কিয়স্কের মালিক। জানা গিয়েছে, গত সোমবার নিজের মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকালে সামসিং-র টপ লাইনের শ্রমিকেরা চা বাগানে কাজে যাওয়ার সময় একটি লাল রঙের মোটরবাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। বাইকটিতে হেলমেটও রাখা ছিল। এরপর বাগানের একপ্রান্তে ঝোপের মধ্যে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহটি শ্রমিকেরাই প্রথমে দেখতে পান। মেটেলি থানার পুলিশ মৃতদেহের পড়নের প্যান্ট থেকে পুড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন, বাইকের চাবি এবং মানিব্যাগ পায়। সেখান থেকেই মৃতের নাম পরিচয় জানা যায়। খবর পেয়ে আসেন মৃতের পরিজনেরা। বিকাশবাবুর ভাই সঞ্জয় সরকার জানান, তিন মাস আগে বিকাশবাবুর স্ত্রী বর্ণা সরকার মারা যান। তারপর থেকেই তিনি মাঝেমধ্যে অসংলগ্ন আচরণ করতেন বলে সঞ্জয়বাবুর দাবি। পরিবার জানিয়েছে, ৬ জানুয়ারিতে রক্তচাপ কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে একরাত্রি ভর্তিও করা হয়েছিল তাঁকে।
পরিবারের দাবি, সোমবার বেরিয়ে যাওয়ার পরে দু’দিন ধরে বিকাশবাবুর মোবাইল অফ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার থেকেই কিয়স্কে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ থাকবে বলে বোর্ডও ঝুলিয়ে দেন বিকাশবাবু। জলপাইগুড়ির ১১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর সৈকত চট্টোপাধ্যায় পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) নিমা নরবু ভুটিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy