মাইক ফুঁকে প্রচার নেই। একেবারে নিঃশব্দে শান্তি ও সম্প্রীতির মিছিলের প্রচার চলছে। সকাল থেকে মোবাইলে উপচে পড়ছে এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। ফেসবুকেও যেন জেগে আছে শিলিগুড়ি।
সকলেরই একটাই আর্জি, পাহাড়-সমতলে শান্তি-সম্প্রীতির জন্য আগামী ৩০ জুন বিকেল চারটেয় বাঘা যতীন পার্কের সামনে জমায়েত হোন। সেই বার্তা পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতেও। সেখান থেকেও সাড়া দিচ্ছেন অনেকে। বাংলা ভাগের বিরোধিতায় মিছিলে সামিল হতে চেয়ে সাড়া দিচ্ছেন অনেকেই। ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ইউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কোনও নেতা নেই। তবে মিছিল চলাকালীন কোনও হামলা, ভাঙচুর যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে সকলের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।
বস্তুত, মঙ্গলবার সকাল থেকে সোশ্যাল সাইটের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায়, বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডায় মূল প্রসঙ্গই ছিল শুক্রবারের মিছিল। তার উপরে, এ দিন দুপুরে পিনটেল ভিলেজের কাছে মোর্চার জিটিএ চুক্তি পোড়ানোর কর্মসূচি হয়। তার আশেপাশে বহু ছোট স্টেশনারি দোকান, রেস্তোরাঁগুলিতেও বসে কয়েকজন যুবক জানান, রবিবার যে মিছিল হয়, তা শহরবাসী দেখেছে। শুক্রবার আরও বড় করা দরকার।
এ দিন রাত ৮টার পর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে জোর প্রচার শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, অফিস, বন্ধুদের গ্রুপে মিছিলে অংশ নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়। রাতে হাসমি চকে আড্ডায় কয়েকজন যুবক জানান, প্রচুর ব্যানার, ফেস্টুন এবং জাতীয় পতাকা থাকবে। এর জন্য বন্ধুদের গ্রুপ থেকে নিজেরা চাঁদা তুলে তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়, দার্জিলিং বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কোনওভাবেই বাংলাকে ভাগ হতে দেওয়া যাবে না।
কয়েকজন তরুণী জানান, তাঁদের কলেজে মিছিলের জোর প্রচার চলছে। সেবক রোডের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা জানান, তাঁদের স্কুলের এক করণিক সবাইকে মিছিলে থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy