Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাওয়াইয়াতে অ-মাইক প্রচার

হাতে মাত্র মাস খানেক। নির্বাচনের প্রচার জোর কদমে শুরু হওয়ার মুখেই উচ্চ মাধ্যমিকের গেরোয় মাইক বাজানো বন্ধ। তাতে কী? হাল ছাড়তে রাজি নন কেউ। তাই নানা স্বাদের অভিনব প্রচারে খামতি রাখছেন না কোনও পক্ষই। কোথাও পাড়ায় পাড়ায় খালি গলাতেই শুরু হয়েছে গানের লড়াই। ভাওয়াইয়ার সুরে একে অপরকে বাজিমাত করতে নতুন নতুন গানও বেঁধেছেন গাইয়েরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৫০
Share: Save:

হাতে মাত্র মাস খানেক। নির্বাচনের প্রচার জোর কদমে শুরু হওয়ার মুখেই উচ্চ মাধ্যমিকের গেরোয় মাইক বাজানো বন্ধ। তাতে কী? হাল ছাড়তে রাজি নন কেউ। তাই নানা স্বাদের অভিনব প্রচারে খামতি রাখছেন না কোনও পক্ষই। কোথাও পাড়ায় পাড়ায় খালি গলাতেই শুরু হয়েছে গানের লড়াই। ভাওয়াইয়ার সুরে একে অপরকে বাজিমাত করতে নতুন নতুন গানও বেঁধেছেন গাইয়েরা।

কীর্তনের দলকেও প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক দল থেকে বিরোধী প্রায় সকলেই। সকালে ওঠা থেকে কীর্তনের ঢঙেই চলবে ভোটের প্রচার। শুক্রবার অষ্টমীর স্নানে দেখা গেল তার মহড়াও। নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জে বসেছে অষ্টমী স্নানের মেলা। সেখানে কীর্তনর গেয়ে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপির প্রচার। বাম প্রার্থীরা অবশ্য এখনও সে ভাবে প্রচার শুরু করেনি। তাঁরা জানিয়েছেন, হাতে সময় খুব অল্প। তাই বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে কিছু ভাওয়াইয়ার সুরে প্রচার তো চলবেই।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের হয়ে প্রচারে নামছেন। এখন মাইক বাজানো বন্ধ। তাই খালি গলায় ভাওয়াইয়ার সুরে গান বাঁধছেন। অনেকে কীর্তন গেয়েও প্রচার করছেন।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন জানান, বাম ও তৃণমূলের অপশাসনে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন অনেক জায়গায়। বাম নেতা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “প্রচারে আমরা এ বার সমস্ত মানুষের কাছে যাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছি। সেই সঙ্গে মিটিং, সভা করা হবে। প্রতি নির্বাচনেই গানের সুরে প্রচার হয়। এ বার হাতে সময় কম থাকায় ওই প্রচার একটু কম হতে পারে।”

কোচবিহারে এ বার চারটি পুরসভায় নির্বাচন। কোচবিহার পুরসভা-সহ তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা এবং দিনহাটা পুরসভার ৬০টি আসনে নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। প্রার্থীরাও নিজের নিজের ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ছোট ছোট মিটিঙের উপরে জোর দিয়েছেন তাঁরা। বাড়িতে বাড়িতে প্রচার করছেন সকলে।

আগামী ৩১ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, তার পরেই শুরু হবে মাইক মিটিং, গানের আসর।

প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহারে দু’হাজারের বেশি লোকশিল্পী রয়েছেন।

এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন ভোটের গানে অংশ নেন। শাসক দলের সঙ্গেই যুক্ত আছেন বলরামপুরের হামিদ সরকার। তিনি বলেন, “পুরসভা ভোটের জন্য বেশ কিছু নতুন গান বেঁধেছি। পুরনো গানও আছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সবাই ডাকবে বলে আশা করছি। কোমর বেঁধে গান নিয়ে নেমে পড়ব প্রচারে।”

কোচবিহারে প্রায় প্রতি পাড়াতেই একটি করে কীর্তনের দল রয়েছে। অনেকে ওই দলের সঙ্গেও কথা সেরেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক প্রার্থী বলেন, “সকালে উঠে অবধি কীর্তন চলবে। সেই সঙ্গে চলবে ভোট প্রচারও। সে জন্যই কীর্তনের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আসা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE