শনিবার পুরসভার ভোট গ্রহণ পর্ব শান্তিতে মিটতে ভূমিকম্পের আতঙ্কের আবহে জলপাইগুড়িতে শুরু হল ভোট গণনার প্রস্তুতি। আগামী মঙ্গলবার শহরের বিএড কলেজে গণনার কাজ হবে। এদিন ভোটগণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মহকুমাশাসক সীমা হালদার। তিনি জানান, সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।
এবার শহরে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার ১২৯ জন। বিভিন্ন দলের প্রার্থী ছিলেন ১০৬ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ১০৩টি বুথে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশ। সেই হিসেবে প্রায় ৬৭ হাজার ভোট গণনা হবে মঙ্গলবার। মোট ২৮টি টেবিলে গণনার কাজ চলবে। প্রতি টেবিলে দুজন সরকারি কর্মী থাকবেন।
রবিবার সকালে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা গণনা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। কোন দল বোর্ড দখল করবে অথবা কোন দল এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সেই প্রশ্নে দুপুর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিতর্ক চললেও বেলা ১২টা ৪৩ মিনিটে ফের ভূমিকম্পের ধাক্কায় আলোচনার বিষয় পাল্টে যায়। কেন বারবার ভূমিকম্প! ভোটের ফলাফল কি হবে সেই চিন্তাকে যেন ভূমিকম্পের আতঙ্ক গিলে খায়। প্রবীণ তৃণমূল নেতা কল্যাণ চক্রবর্তী টেম্পল স্ট্রিটের দফতরে বসে বলেন, “এই ধরনের ভূমিকম্প এর আগে কখনও অনুভব করিনি।”
প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, গণনার প্রস্তুতিতে কোনও গাফিলতি করা হয়নি। মহকুমাশাসক নিজের দফতর ছাড়ার সুযোগ পাননি। দফতরের কর্মীদের নিয়ে তাঁকে গণনার প্রস্তুতির কাজ সামাল দিতে হয়েছে। ওই কাজের ফাঁকে ভূমিকম্পে কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হল কি না খোঁজ নিয়েছেন। মহকুমাশাসক বলেন, “বড়সড় ক্ষতি হয়নি। ঘরবাড়িতে চিড় ধরার কিছু খবর মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মানুষ আতঙ্কে আছে।”
এ দিন স্থানীয় কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি নেতৃত্ব জানান বিরোধীদের হুমকির ভয়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি, এমন ঘটনা তাঁদের জানা নেই। থাকলে নির্বাচন কমিশনকে জানাতেন। বিরোধীরা বাইরের লোকজন এনে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে সেটা রুখে দিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ভোট হয়েছে শান্তিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy