চন্দনা চক্রবর্তীর আশ্রয় হোমের দুই কুমারী মা ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ি হাসপাতালের কর্তারা৷
সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি ওই দুই কুমারী মা-কে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে বলে৷ কিন্তু তাঁদের সন্তানদের কী হবে, তা সেই নির্দেশে বলা নেই৷ এতেই ফাঁপরে হাসপাতাল কর্তারা৷ যদিও লিগাল সার্ভিস অথরিটির কর্তারা জানিয়েছেন, চিঠিতে কোনও ভাবে সন্তানদের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতালকে নতুন চিঠি পাঠানো হয়েছে৷
১৮ ফেব্রুয়ারি হোমকাণ্ডে চন্দনা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷ তার মাস খানেক আগে চন্দনার পরিচালিত বিমলা শিশুগৃহ থেকে পনেরোটি শিশুকে দুই দিনাজপুর ও কোচবিহারের তিনটি হোমে স্থানান্তরিত করে প্রশাসন৷ চন্দনা গ্রেফতার হওয়ার তার আশ্রয় হোমে থাকা আবাসিকদেরও সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু সেখানে সেই সময় দু’জন গর্ভবতী কুমারী মহিলা থাকায় তাদের জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানে ১০ মার্চ ও ২৩ মার্চ সন্তানের জন্ম দেন তাঁরা। হাসপাতালের কর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই তারপরে ওই দুই তরুণী ও তাঁদের সন্তানকে হাসপাতালেই রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু এ ভাবে দিনের পর দিন তাঁদের হাসপাতালে রেখে দিয়ে সমস্যাও বাড়ছিল কর্তৃপক্ষের৷
এক কর্তার কথায়, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আড়াইশোটি বেড রয়েছে৷ কিন্তু প্রতিদিনই রোগীর চাপ তার থেকে অনেক বেশি থাকে৷ কিন্তু তারপরও দুই কুমারী মা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য সেখানে বেডের ব্যবস্থা রাখতে হয়৷ পাশাপাশি তাঁদের সন্তানরা যাতে কোনও সংক্রমণের শিকার না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছিল৷ ওই দুই কুমারী মায়ের বা়ড়ির লোকেরাও হাসপাতালে যোগাযোগ করেন, বাড়ি ফিরিয়ে নিতে৷ কিন্তু নির্দেশ না থাকায় তাঁদের ফেরত দিতে পারছিলেন না কর্তৃপক্ষ৷
হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘প্রশাসনের বিভিন্ন মহলেও চিঠি দিই৷ কিন্তু ওই দুই তরুণীর সন্তানদের ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷’’ তাই তাঁদের পরিবারের হাতেও দিতে পারছি না৷’’
তবে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা দে বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে কোনও ভাবে শিশু দু’টির কথা উল্লেখ করা বাদ পড়ে গিয়েছে৷ এ দিনই আমরা হাসপাতালকে আরেকটি চিঠি দিয়েছি৷ যাতে কুমারী মায়েদের পাশাপাশি তাদের সন্তানদেরও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy