প্রচারে: রায়গঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের বাকি আর মোটে তিন দিন। তার আগে বৃহস্পতিবার তুঙ্গে উঠল রায়গঞ্জের প্রচার। কে নেই এই শেষ পর্বে? তৃণমূলের হয়ে মহামিছিল করলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য। পাল্টা প্রচারে কম যাননি বিরোধীরাও। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাহুল সিংহ, বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সকলকেই দেখা গিয়েছে এ দিনের প্রচারে।
এই লড়াইয়ে মোটামুটি ভাবে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। তৃণমূল চাইছে রায়গঞ্জ পুরসভায় মোহিত সেনগুপ্তের আধিপত্যের অবসান। আর উল্টো দিকে কংগ্রেস, বাম ও বিজেপি প্রচার করছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাদের আরও অভিযোগ, দুষ্কৃতী নামিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগ আবার উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে শহর জুড়ে মহামিছিল করে তৃণমূল। আবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রোড শো করেন রাহুলবাবু। তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ আনেন তিনি। সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে শহরের ১, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রা করেন সুজনবাবু। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারও চালান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। সুজন বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের নিজের ভোট নিজেকে দিতে অনুরোধ করছি।’’
এ দিনই বিকেলে শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে ঠনঠনিয়াপাড়া এলাকায় একসঙ্গে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালান আব্দুল মান্নান, মোহিত সেনগুপ্ত, দীপা দাশমুন্সি ও সেলিম। রাহুল সিনহার মতো তাঁদেরও অভিযোগ, সন্ত্রাসের লক্ষ্যে শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে দুষ্কৃতী নামিয়েছে তৃণমূল। এই ভাবেই তারা ভোট করাতে চাইছে।
বিকেলে শুভেন্দু-অমলের নেতৃত্বে কসবা থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত মহামিছিল করে তৃণমূল। ছিলেন আর এক মন্ত্রী গোলাম রব্বানিও। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ২৭টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন মিছিলে। শুভেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘বাসিন্দারা উন্নয়নের স্বার্থে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করবেন। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি আঁতাঁত করেও পরাজয় রুখতে পারবে না। তাই মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy