চয়ন সরকারের ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
খবর করার জন্য সাংবাদিক অপহরণ করে গুম করে দেওয়ার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। দুর্নীতির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সম্প্রতি রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল সাংবাদিক অক্ষয় সিংহের। ব্যপম-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এই ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। তবে, সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিমবঙ্গ এমন ঘটনার সাক্ষী হয়নি। এ রাজ্যে সাংবাদিকদের হুমকি বা তাঁদের উপর হামলার নানা ঘটনা ঘটেছে। তবে, অপহৃত হননি কোনও সাংবাদিক।
এ বার আলিপুরদুয়ারে কি সেই ঘটনাই ঘটল?
নিখোঁজ সাংবাদিক চয়ন সরকারের পরিবারের আশঙ্কা তেমনটাই। ওই সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু, সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁর বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৮ জন কর্মীকে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। আর সেই দিন রাত থেকেই চয়নবাবু নিখোঁজ। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে নবান্ন থেকে সিআইডির ডিআইজিকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ৯টা থেকে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ওই সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। চয়নবাবুর পরিবারের আশঙ্কা, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। সাংবাদিক নিখোঁজের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সকলেই। তাঁকে খুঁজে বের করার দাবিতে এ দিন সকাল ১১টা থেকে চৌপথীতে জেলার সাংবাদিকেরা পথে বসেন। অন্য দিকে, ওই সাংবাদিকের সন্ধান পেতে রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) জ্ঞানবন্ত সিংহকে বিশেষ একটি দল গড়তে অনুরোধ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকেরা গৌতমবাবুর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। তা ছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিআইজি-র কাছেও একটি স্মারকলিপি জমা দেবেন তাঁরা। দেবপ্রসাদ রায়, শঙ্কর মালাকার-সহ কংগ্রেস বিধায়কেরা এ দিন দুপুরে উত্তরকন্যায় গিয়ে জলপাইগুড়ি বিভাগের কমিশনার বরুণ রায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই ওই সাংবাদিকের বাড়িতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন কর্মী চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় রবিবার ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সকলেই টিএমসিপি-র কর্মী। আলিপুরদুয়ারের চৌপথীতে ওই রাতে তাঁর উপরে হামলার প্রতিবাদে পথসভা ছিল। কিন্তু, অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি ওই পথসভায় পৌঁছননি দেখে খোঁজ শুরু হয়। পরে রাজ্য সড়কের উপরে চয়নবাবুর মোটরসাইকেল এবং মানিব্যাগ উদ্ধার হয়। তাঁর দু’টি মোবাইল এখনও বন্ধ। চয়নবাবুর পরিবারের অভিযোগ তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy