Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জল জমা রাস্তায় ভোগান্তি ভগবানপুরে

জাতীয় স়ড়ক থেকে নেমে গিয়েছে কংক্রিটের রাস্তা। বৃষ্টির সময় যাতায়াতের সুবিধের জন্য ওই রাস্তা তৈরি হলেও বর্ষাকালে সেটিই চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এমন জল ভেঙেই যাতায়াত করতে হয়। ছবি: বাপি মজুমদার

এমন জল ভেঙেই যাতায়াত করতে হয়। ছবি: বাপি মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০২:৩৪
Share: Save:

জাতীয় স়ড়ক থেকে নেমে গিয়েছে কংক্রিটের রাস্তা। বৃষ্টির সময় যাতায়াতের সুবিধের জন্য ওই রাস্তা তৈরি হলেও বর্ষাকালে সেটিই চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সামান্য বৃষ্টিতেই ওই রাস্তার প্রায় একশো মিটার চলে যায় জলের তলায়। মালদহের রতুয়ার সামসি পঞ্চায়েতের ভগবানপুরের এই রাস্তাটিতে তখন হাঁটুজল পেড়িয়েই যাতায়াত করতে হয় আশেপাশের ছ’টি এলাকার বাসিন্দাদের।

ভগবানপুরের দু’টি হাই মাদ্রাসা ও একটি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদেরও ওই জলকাদা মাড়িয়েই যেতে হয় স্কুলে। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় তিন বছর আগে ওই রাস্তাটি তৈরির পর থেকেই সমস্যার শুরু বলে অভিযোগ একাধিক গ্রামবাসীর। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ফল না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা।

রতুয়া-১ এর বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখছি।’’

সামসি-গাজল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ভগবানপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কংক্রিটের ওই রাস্তাটি ভগবানপুর এলাকার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে ভগবানপুর হয়ে সামসি, চাঁচল, মালদহে যাতায়াত করেন বাটনা, বোমপাল, আন্ধারু, পিন্ডলতলা, বান্দাকুড়ি-সহ পাঁচটি এলাকার বাসিন্দারা।

সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন সামসি পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের আনজুরা বিবিও। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত জমা জল বের করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। পরে স্থায়ী জল নিকাশি গড়ে তোলা হবে।’’

কিন্তু পঞ্চায়েতের আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবছরই জল জমার পর আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

ভরা বর্ষায় টানা মাসদুয়েক ধরে বাসিন্দাদের নরক যন্ত্রনা ভোগ করে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন, মহম্মদ দুলালরা বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকহাজার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার সময় কচিকাঁচাদের অনেকেই স্কুলে যেতে পারে না।’’

ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক বিপুলেশ দত্তও বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করলেও প্রশাসনের হেলদোল নেই দেখে অবাক লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Water logged
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE