Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ বার তাতছে সমতল

আদিবাসী নেতাদের একাংশ জানান, ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি পথে নামছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছে আদিবাসীদের উন্নয়নের দাবিও। কিন্তু একাধিক মামলায় আদিবাসী নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আন্দোলন থেকে পিছু হটতে শুরু করেন আদিবাসী নেতারা।

ক্ষতি: দুধিয়াতে সরকারি অতিথিশালায় আগুন। নিজস্ব চিত্র

ক্ষতি: দুধিয়াতে সরকারি অতিথিশালায় আগুন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

পাহাড়ের উত্তাপ তরাই ডুয়ার্সেও ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বৈঠক ডেকেছেন আদিবাসী নেতারাও। রবিবার আদিবাসী নেতা জন বার্লার বাড়িতে তরাই ডুয়ার্সের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। আদিবাসীদের এই বৈঠকের উপর নজর রেখেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও।

আদিবাসী নেতাদের একাংশ জানান, ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি পথে নামছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছে আদিবাসীদের উন্নয়নের দাবিও। কিন্তু একাধিক মামলায় আদিবাসী নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আন্দোলন থেকে পিছু হটতে শুরু করেন আদিবাসী নেতারা।

জন বার্লা জানান, এটি কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক নয়। তিনি বলেন, “আমরা ছোট রাজ্যের বিপক্ষে নই। আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে কিছুই করেনি রাজ্য সরকার। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আদিবাসী টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দাবি করেছিলাম। তা দেওয়া হয়নি।” জন বার্লা জানান, তরাই ডুয়ার্সের চা বাগানগুলির শ্রমিকদের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয়। এখানে বন্‌ধ অবরোধ হলে সমস্যা হবে।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আদিবাসী নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নেতাদের একাংশ গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতা করতে চাইছেন। আবার একাংশ চাইছেন ছোট রাজ্যের বিরোধিতা না করে আদিবাসীদের উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করতে। সেক্ষেত্রে রবিবারের বৈঠক তরাই ডুয়ার্সের আদিবাসী নেতাদের কাছে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE