হরষিত আনন্দ
দেশ জুড়ে মেডিক্যালে ভর্তির যে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা তাতে ১৫ নম্বর র্যাঙ্ক করল শিলিগুড়ির ছেলে হরষিত আনন্দ। তার সাফল্যে খুশি সকলে।
শিলিগুড়ির সেবক রোডে আপার ভানুনগরের একটি আবাসনে তাঁদের বাড়ি। বাবা নারায়ণ অগ্রবাল এবং মা অঞ্জনা অগ্রবাল দু জনেই চিকিৎসক। পড়াশোনা শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুলে।
কীভাবে তার ডাক্তারিতে আগ্রহ জন্মাল, তা জানালেন তাঁর বাবা নারায়ণবাবু। তিনি বলেন, ‘‘বছর দশেক আগের ঘটনা। ছোট একটি শিশু গলার মালার ‘লকেট’ খেয়ে ফেলেছিল। ক্লিনিকে এলে আমি এন্ডোস্কোপি করে তা বার করে দিয়েছিলাম। তা দেখে ছোট বেলাতেই উৎসাহী হয়েছিল হরষিত। তখনই বলত ‘আমি ডাক্তার হব’।’’ নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসক হয়ে ও মানুষের জন্য কিছু করতে চায়।’’ হরষিত নিজেও জানান, চিকিৎসক হয়ে সেটাই তাঁর লক্ষ্য।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে দু’ বছর আগে রাজস্থানের কোটাতে চলে যায় হরষিত। সেখানে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা, সেই সঙ্গে মেডিক্যালে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছিল। হরষিত বলেন, ‘‘দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়েছি। বইয়ের কোনও অধ্যায় পড়তে শুরু করলে সেটা শেষ করে তবে আরেকটা অধ্যায় পড়তাম। এ ভাবেই পড়েছি। রেজাল্ট মেলায় ভাল লাগছে।’’
হরষিত ঠিক করেছেন এইমস-এ ভর্তি হবেন। পড়াশোনার সঙ্গেই সিনেমা দেখা তাঁর পছন্দের তালিকায় অন্যতম। ব্যাডমিন্টন পছন্দের খেলা। গত বছর ব্যাডমিন্টনের জেলা টুর্নামেন্টে অংশও নিয়েছিল।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা এই ছাত্রের ফলাফলে খুশি দিল্লি পাবলিক স্কুলের শিক্ষকেরাও। স্কুলের শিক্ষক অভ্রদীপ মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত শর্মারা জানান, তাঁদের প্রাক্তন ছাত্র হরষিত বরাবরই পড়াশোনায় ভাল। তার সাফল্যে শিলিগুড়ি শহর তো বটেই গোটা উত্তরবঙ্গই গর্বিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy