ছোট শ্যালকের বিয়েতে তাঁকে দামী মোবাইল কিনে দিতেই হবে—এমনই আবদার করেছিলেন জামাইবাবু। জামাইবাবু মুসলিম শেখের আবদার এখনই মেটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি শ্যালক নুরুল ইসলাম। তা নিয়ে বচসা গড়াল দু’পক্ষের সংঘর্ষে। ঘটনায় গুরুতর আহত নুরুল-সহ দু’জন। শনিবার রাতে রতুয়ার হর গোবিন্দপুর গ্রামের ঘটনা। লোহার রড দিয়ে মারধর করায় মাথা ফেটে গিয়ে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি নুরুল। পাল্টা হামলায় জখম হয়েছেন মুসলিমের ভাই মিস্টার শেখ। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া থানার কাহালা পঞ্চায়েতের হরগোবিন্দপুরের বাসিন্দা মহম্মদ রিয়াজউদ্দিন শেখ। তাঁর তিন ছেলে এবং পাঁচ মেয়ে রয়েছে। পাঁচ মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আজ, সোমবার ছোট ছেলে নুরুল ইসলামের বিয়ে রয়েছে গ্রামেরই এক মেয়ের সঙ্গে। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে ওই দিনই আত্মীয়রা ভিড় করেছিলেন। সেই সময় নুরুলের ছোট জামাইবাবু রতুয়ার মোমিন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম তাঁর কাছে ১২ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন দাবি করেন। মুসলিমের একটি ট্যাক্সি রয়েছে। সেটি চালান তিনি। শ্যালকের মুখে না শুনে শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের বচসা। তার পরই আচমকা বাড়ির উঠোন থেকে লোহার রড দিয়ে নুরুলের মাথায় মুসলিম আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিয়ে বাড়িতে হইচই পড়ে যায়। পাল্টা হামলায় আহত হন মুসলিমের ভাই মিস্টার।
ঘটনার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মুসলিম। নুরুল বলেন, ‘‘বিয়েবাড়িতে মোবাই ফোন দিতে গেলে শুধু এক জামাইবাবুকে দেওয়া যায়! আমাকে পাঁচ জামাইবাবুকেই দিতে হতো। রাজমিস্ত্রির কাজ করে তা এখনই কী করে দেওয়া সম্ভব! তাই পরে দেব বলে জানিয়েছিলাম। এই ভাবে যে আমাকে মারধর করবে তা ভাবতেই পারেনি।’’
অপর দিকে, আহত মিস্টার বলেন, ‘‘আমি দু’পক্ষের গোলমাল থামাতে গিয়েছিলাম। আচমকা আমার মাথায় আঘাত করা হল। কেন আমাকে মারা হল বুঝতে পারলাম না।’’ মুসলিমের স্ত্রী রেজিনা বিবি বলেন, ‘‘সপ্তাহখানেক ধরেই ও মোবাইল ফোনের জন্য আবদার শুরু করেছিল। তা বলে ভাইকে মারধর করবে তা ভাবতেই পারিনি।’’ দু’পক্ষেরই দাবি, এখন চিকিৎসা ও বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়া হয়নি। পরে জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy