মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে ঘিরে রবিবার থেকেই পুলিশের নদরজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি, পরীক্ষা চলছে। তেমনই, নাকা তল্লাশি সময় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার পুরানো ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট-সহ চার ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করল। রবিবার দুপুরে প্রধাননগর থানার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের দার্জিলিং মোড় এলাকার ঘটনা। ধৃতদের মধ্যে সিকিম, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দাও আছেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, সিকিম থেকে ওই বাতিল টাকা বিহার বা কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। ধৃতেরা জমির কারবারের সঙ্গে জড়িত। গাড়ি নিয়ে তারা কোচবিহারেও গিয়েছিল। সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে বাগডোগরার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু ওই বিপুল পরিমাণ বাতিল টাকা ঠিক কোথা থেকে এনে, কী করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃতদের দাবি, জমির লেনদেন সংক্রান্ত কাজ থেকেই ওই টাকা তারা পেয়েছিলেন। কিন্তু নথিপত্র ঠিক না থাকায় তারা তা ব্যাঙ্কে জমা করতে পারেনি। গত ৩-৪ মাস ধরে তা রেখে দেওয়ার পরে শিলিগুড়ির একজনকে পরিচিতকে দেওয়ার কথা ছিল। তিনি সেগুলি নষ্ট করে দিতেন। কারণ টাকাগুলি কোথাও নষ্ট করা বা ফেলে দেওয়া যাচ্ছিল না।
ধৃতদের এই যুক্তিতে পুলিশের মনে যথেষ্ট সন্দেহ হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃতদের এক জন মধ্যপ্রদেশের ভিন্দের বাসিন্দা। দলটির পিছনে কোনও ব্যাঙ্কের লোকজন রয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। পুরনো নোট জমা দেওয়ার সময় পার হওয়ার পরে কমিশনের ভিত্তিতে বাতিল টাকা দিয়ে নতুন নোট নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি সংমিত লেপচা বলেন, ‘‘ধৃতদের বক্তব্যে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। আমরা ওদের জেরা করে সঠিক তথ্য বার করার চেষ্টা করছি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে পাশাং তামাঙ্গ ও বিক্রম কালিকোটের বাড়ি সিকিমের তাদং-এ। পরম বাহাদুর ডার্নালের বাড়ি দার্জিলিং মোড় লাগোয়া রাজীব নগরে আর রামশঙ্কর খুশওয়ার বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। ধৃতদের হেফাজত থেকে আটক করা সিকিম নম্বরের ছোট গাড়িটির মধ্যে একটি ব্যাগে টাকাগুলি ছিল। তাতে পুরানো ১৪৯৪টি ৫০০ টাকার নোট এবং ২০০টি ১ হাজার টাকার নোট মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy