সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র
পাহাড় সমস্যা থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে অভিযোগ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
শনিবার দুপুরে কোচবিহার জেলা সিপিএমের অফিসে কর্মিসভা করেন তিনি। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন। তাঁর কথায়, “ওনার প্ররোচনার মাধ্যমেই এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খুব উদ্বেগের ব্যাপার যা হচ্ছে পাহাড়ে। কোনও কিছু হত না যদি উনি উস্কানি না দিতেন। সেটা ভাষার ব্যাপারে হোক, মন্ত্রিসভার বৈঠকেই হোক আর সব পুরসভা দখল করার ব্যাপারেই হোক। আপনি গিয়ে কেন মিছিমিছি গোলমাল বাধাতে গেলেন। এখনও সময় আছে উভয়পক্ষকে সংযত হতে বলছি।”
সূর্যকান্তের মতে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়া পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়া সমাধান নেই। আন্দোলনকারী, রাজ্য সরকার আর কেন্দ্রীয় সরকার বসবে। চুক্তি হওয়ার সময় এটাই উল্লেখ আছে। আলাদা আলাদা করে একে ডাকবে ওঁকে ডাকবে এ ভাবে সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা শান্তি চাই। প্ররোচনা নয় আলোচনা চাই। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি।”
বন্যা নিয়ন্ত্রণেও রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে দাবি তাঁর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বহু বাঁধের পরিস্থিতি খারাপ। সেগুলি সংস্কারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বন্যার শুরু থেকেই বন্যার্তদের কেউই ত্রাণ পাচ্ছেন না।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি দলকে কোথাও দেখা গেল না। রাজ্য সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনও রিপোর্ট দিয়েছে বলে শুনিনি। কোথায় কত ক্ষতি হয়েছে, কত মানুষ মারা গিয়েছেন তা তুলে ধরা হয়নি।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সূর্যবাবুর অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “মানুষের পাশে সিপিএমকে কোথাও কখনও দেখা যায়নি। তাঁদের প্রচুর ফান্ড রয়েছে। সেগুলি ত্থেকে বন্যার্তদের সাহায্য করতে পারতেন। শুধু রাজনীতি করার জন্যে মুখে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন।” পাহাড় নিয়ে সূর্যবাবুকে তাঁর কটাক্ষ, “পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার গিয়েছেন। প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মোর্চা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। সেই ব্যাপারেও বামেদের কোনও গঠনমূলক ভুমিকা নিতে দেখা যায়নি। খবরের কাগজে নাম তুলতেই তাঁরা কিছু ভিত্তিহীন কথা বলে বেড়াচ্ছেন।”
দিন দুয়েক আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। সেখানে একটি ব্যানারে ‘দান সামগ্রী কথা উল্লেখ ছিল। তা নিয়ে কোচবিহারের এক ডিওয়াইএফআই কর্মী আকাশজিৎ বর্মন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সমালোচনা করায় তাঁকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশও তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে কিছুক্ষণ আটকে রাখে বলে অভিযোগ। সূর্য়বাবু এদিন ওই যুব কর্মীর সঙ্গেও দেখা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy