কোচবিহারের স্কুলে প্রফুল্লচন্দ্রের জন্মদিবস উদযাপন। নিজস্ব চিত্র।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে স্কুলে এলেন না কোনও শিক্ষক। তাই ব্লকের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রফুল্লচন্দ্রের জন্মজয়ন্তী পালন হলেও ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোড়া ১ নম্বর বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জন্মদিন উদযাপন তো হলই না, উপরন্তু ছোট ছোট পড়ুয়ারা এসে বেলা বারোটা পর্যন্ত থেকে বাড়ি ফিরে গেল।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ গ্রামের অভিভাবকরা স্কুলে এসে ভিড় করতে থাকেন। স্বপন রায় ও নাসিরুদ্দিন মিয়া বলেন, “বেলা ১২টা বেজে গেলেও দেখি পড়ুয়ারা বাইরে রাস্তার উপর খেলছে। এর আগেও শিক্ষকরা এরকম করেছেন। তখন শিক্ষকরা বলেছিলেন এ রকম আর হবে না। কিন্তু আজ ফের একই ঘটনা দেখলাম।” পঞ্চায়েত প্রধান জিতা রায় ক্ষোভের কথা শুনে স্কুলে এসে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্কুল ছুটি দিয়ে নিজেই স্কুলে তালা লাগিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শকে ফোন করে বিস্তারিত জানান। এর পর গয়েরকাটা পশ্চিম সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক সুখদেব প্রামানিক ফোন করে প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ডেকে পাঠান। অন্য শিক্ষকদেরও না আসার কারণ জানাতে বলেন। সুখদেববাবু বলেন, “গাফিলতির জন্য প্রধান শিক্ষক প্রকাশ সাহাকে শো-কজ করা হয়েছে। এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে তা দেখা হবে। ”
ঘটনার কথা শুনেছেন ধূপগুড়ির বিডিও শুভঙ্কর রায়ও। তিনি বলেন, “শিক্ষকেরা কেন এই রকম গাফিলতি করবেন তা প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে স্কুল পরিদর্শকে জানাতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কী কারনে স্কুলে আসেননি তা জানতে প্রধান শিক্ষককে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy