Advertisement
০২ মে ২০২৪

গদাধরে স্নানের পরে জমল মেলা

অষ্টমী স্নানে মজল ডুয়ার্সবাসী। তিস্তা থেকে জলঢাকা সর্বত্রই সকাল থেকে অষ্টমীর স্নানের ঘাটে পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। গজলডোবার তিস্তাচরে স্নান উপলক্ষ্যে মেলারও আয়োজন হয়।

মেলা: কোচবিহারে জমেছে অষ্টমীর মেলা। নিজস্ব চিত্র।

মেলা: কোচবিহারে জমেছে অষ্টমীর মেলা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪১
Share: Save:

অষ্টমী স্নানে মজল ডুয়ার্সবাসী। তিস্তা থেকে জলঢাকা সর্বত্রই সকাল থেকে অষ্টমীর স্নানের ঘাটে পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। গজলডোবার তিস্তাচরে স্নান উপলক্ষ্যে মেলারও আয়োজন হয়। মালবাজার শহরে বাসন্তী পুজোর পাশাপাশি অন্নপূর্ণা পুজোরও আয়োজন হয়। পারিবারিক অন্নপূর্ণা পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুবীর মিত্র বলেন পার্বতী শিবকে অন্ন তুলে দিচ্ছেন এমন প্রতিমাতেই দীর্ঘ ৯০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে।

মেঘলা সকালে গদাধর নদীতে মহাষ্টমীর স্নানে উপচে পড়ল ভিড়। মঙ্গলবার ভোর থেকে ঠান্ডা হাওয়া উপক্ষে করে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন সলসলাবাড়ির গদাধর মেলা প্রাঙ্গণে। ভোর থেকেই জিলিপি, মিষ্টি, বেলুন, দই, চিঁড়ে সহ নানা পসরা নিয়ে হাজির শতাধিক দোকানদার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান পুজো মণ্ডপে বাসন্তী পুজো, গঙ্গা পুজো ও অশোকা অষ্টমী পুজো হয়। ১৯৩৯ সাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং অসম থেকে পুণ্যার্থীরা এখানে ভিড় জমান। বছর বছর বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা। মূলত গদাধর নদীতে স্নান করে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন সাধারণ মানুষ। নদীর দু’ধারে বহু পুরোহিত বসে থাকেন ভোর থেকে।

পুজো কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত রায় জানান, ইংরেজ আমল থেকে এখানে পুজো চালু হয়েছে। তখন থেকেই গদাধর মেলা বিখ্যাত। মূলত বাসন্তী পুজোর অষ্টমীর দিনে এখানে মহা অষ্টমীর স্নান করে লোক। সেই উপলক্ষে বসে মেলা। এই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মেলা। ভিড় জমান কয়েকশো লোক। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, ভোর থেকে ভিড় জমতে থাকে জাতীয় সড়কের ধারে।

অসমের শ্রীরামপুর থেকে আসা রেণুবালা রায় জানান, বহু বছর ধরে গদাধর মেলায় আসছি। নদীতে স্নানের পর দই চিঁড়ে ও গুড় খাওয়া এই মেলার নিয়ম। ফালাকাটা থেকে আসা জীবন সাহা জানান, প্রতি বছর পরিবার নিয়ে এই মেলায় আসি। তর্পণ করি।

খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই অষ্টমী স্নানের মেলা জমে উঠল কোচবিহারেও। মঙ্গলবার কোচবিহারের তোর্সা নদী, কালজানি, গদাধর সহ একাধিক নদীর ধারে ওই মেলা জমে ওঠে। বাসন্তী অষ্টমী পূজা থেকেই ফালাকাটায় জমে উঠল চৈত্র সেলের বাজার। বাজার ঘুরে দেখা যায়, জামা-কাপড় বাদেও জুতো ও নানা আকারের দামি দামি ডিজাইনার ব্যাগ চৈত্র সেলে দেদার বিকোচ্ছে। দোকান বাদ দিয়েও চৈত্র সেলের বাজার জমে উঠেছে ফালাকাটার বিভিন্ন ফুটপাথে। কোথাও ৫০ শতাংশ, কোথাও ২০-৩০ শতাংশ সেলে বিক্রি হচ্ছে কাপড়, জুতো ও ব্যাগ। দোকানে দোকানে ভিড়ের চাপে বেশির ভাগ ক্রেতারাই দোকানে ঢুকতে না পেরে ফুটপথ থেকেই কিনে নিচ্ছে ছাড়ের কাপড়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fair Congested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE