দফতরের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগে ঝুলছে কাটা লেজ। ছবি: নিজস্ব চিত্র
বনদফতরের লাগাতার তল্লাশির জেরে চিতাবাঘের কাটা লেজ পঞ্চায়েত অফিসে ঝুলিয়ে রেখে গেল দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে অফিসের গেটে প্লাসটিকের ব্যাগে ওই লেজটি নজরে আসায় ভিড় জমান এলাকার মানুষ। প়ঞ্চায়েত প্রধানের ফোন পেয়ে লেজটি নিয়ে যায় বন দফতর।
মঙ্গলবার চাপাতলি এলাকায় একটি চিতাবাঘকে পিটিয়ে মেরে কেটে নেওয়া হয় পা ও লেজ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপড়ে ফেলা হয় চোখ। ঘটনায় নড়ে চড়ে বসে বনদফতর। বার বার কুকুর নিয়ে গিয়ে চাপাতলি গ্রামে তল্লাশি চালায় বন দফতর ও এসএসবি। শুক্রবারই গ্রাম থেকে এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বনাধিকারিকরা। তাতে বেশ কিছু তথ্য মেলে বলেও দাবি।
বঞ্চুকামারি গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ রায় জানান, এ দিন সকাল আটটা নাগাদ বাসিন্দারা বাজারের পাশে পঞ্চায়েত অফিসের গেটে ব্যাগ ঝুলতে দেখেন। কাছে যেতেই স্বচ্ছ প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগের ভিতর চিতাবাঘের কাটা লেজটি দেখা যায়। বনকর্মীরা জানান উদ্ধার হওয়া কাটা লেজটি প্রায় চোদ্দো ইঞ্চি লম্বা। লেজের বাকি অংশটি এখনও উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে ভাবে বনদফতর লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তাতে দুষ্কৃতীরা ভয়ের চোটেই এই কাণ্ড ঘটায়।
বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শম্পা রায় কুজুর জানান, এ দিন সকালে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে চিতাবাঘের লেজ-সহ ব্যাগটি দেখতে পেয়ে তাঁকে জানান গ্রামের মানুষ। ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বনাধিকারিকরা জানান, যারা চিতাবাঘটিকে মেরেছিল তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও অমর দে তদন্তে নির্দিষ্ট কিছু সূত্র মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এগোচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy