শিলিগুড়ি কলেজ, নকশালবাড়ি কলেজ, বাগডোগরা কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস এবং লাগোয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন।
মনোনয়ন তোলা এবং জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে টিএমসিপি এবং এসএফআই সংঘর্ষ বেঁধেছিল নকশালবাড়ি কলেজে। পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়তে হয়েছিল। আজ, শনিবার কলেজে ভোট। তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে নকশালবাড়ি কলেজ ক্যাম্পাস। বসানো হয়েছে ২২টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নকশালবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সমীরেন্দ্র সরকার জানান, ২২টি আসনের মধ্যে ২১টিতে নির্বাচন হচ্ছে। একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে এক প্রার্থী।
গোলমালের আশঙ্কায় শিলিগুড়ি কলেজ এবং বাগডোগরা কলেজে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে বলে পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই দু’টি কলেজেও গোলমাল হয়। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকছে শিলিগুড়ি কলেজেও। সেখানে ৫৪টি আসনের মধ্যে সবগুলিতেই নির্বাচন হচ্ছে। যদিও বিরোধী এসএফআই শিলিগুড়ি কলেজে ৮ টি আসনে, সিপি ১১টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। টিএমসিপি’র একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক আসনেই তাদের একাধিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার চেলিং সেমিক লেপচা বলেন, ‘‘কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। মহকুমা প্রশাসনের তরফে কলেজ ক্যাম্পাস ও লাগোয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’’
বাগডোগরা কলেজে ৪৮ টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। ২৩টি আসনে টিএমসিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বলে দাবি করেছে। এই কলেজে এসএফআই ১৫টি আসনে, সিপি ৮ টি আসনে এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ, মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজ, শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ, সূর্যসেন কলেজে নির্বাচন থাকলেও ওই কলেজগুলিতে অধিকাংশ আসনে টিএমসিপি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy