Advertisement
১০ মে ২০২৪

ঘুরতে এসে টাকা কেটে নেওয়ার বার্তা, বিপাকে তৃণমূল নেতা

সপরিবার ডুয়ার্স ঘুরতে এসে তৃণমূলের এক নেতা হঠাৎ দেখেন, তাঁর মোবাইলে একের পর এক অনলাইন শপিংয়ের মেসেজ আসছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫৪
Share: Save:

সপরিবার ডুয়ার্স ঘুরতে এসে তৃণমূলের এক নেতা হঠাৎ দেখেন, তাঁর মোবাইলে একের পর এক অনলাইন শপিংয়ের মেসেজ আসছে। কিন্তু তিনি অনলাইনে শপিং করেননি। কিন্তু তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে এই ভাবে পরপর মোট চার বার টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ এসেছে। মোট ৫৬ বাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। এখন মাথায় হাত উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হাজি আশরাফুল ইসলামের।

রবিবার দুপুরে ওই নেতা শিলিগুড়ির সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, একটি অনলাইন শপিং সংস্থার নাম মোবাইলের মেসেজে আসলেও কোনও ডেলিভারি সংক্রান্ত ইমেল বা পেমেন্ট করার আগে যাচাই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ তিনি পাননি বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, আশরাফুল তৃণমূলের ওই জেলা কমিটি ছাড়াও হজ কমিটির আহ্বায়কও। গত শনিবার সকালে তিনি দিনের ট্রেনে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে সপরিবারে রওনা হন। স্ত্রী, মেয়ে ছাড়াও তাঁর সঙ্গে পরিবারের পাঁচ জন আছেন। সন্ধ্যার পর তাঁরা শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে এসে ওঠেন। ট্রেনে মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যায়। হোটেলে উঠে বিশ্রাম করার সময় ওই নেতা মোবাইলটি চার্জ দিয়ে খোলেন। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে ব্যাঙ্কের পরপর ৪টি এমএমএস দেখে তিনি ঘাবড়ে যান।

আশরাফুল জানান, রাজারহাটের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কখন অনলাইন শপিং করলাম তা বুঝতে পারছিলাম না। কিছু ক্ষণের জন্য তো মাথা কাজ করছিল না। পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেউ কিছুই বলতে পারেননি। ওই অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ছিল। ঘোরার সময় বিভিন্ন খরচ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কার্ডে পেমেন্ট করে মেটাব ভেবেছিলাম। পরিবার নিয়ে এসে ঘুরতে পারব কি না, ভেবে রাতে ঘুমও হয়নি।’’

পরে আশরাফুল দলের উত্তরবঙ্গের এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে পুলিশকে সব জানানো হয়। এ দিন পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আশরাফুল যে পর্যটন সংস্থাটির মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে ঘুরতে এসেছেন, সেই সংস্থার অন্যতম কর্ণধার তাপস সাধন রায় সকাল থেকেই পরিবারটির সঙ্গে ছিলেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করিয়ে দলটিকে ডুয়ার্সে ঠিকঠাক ভাবে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন। তাপসবাবু বলেন, ‘‘ওঁর অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। পরিবার নিয়ে অচেনা জায়গায় এসে উনি বিপাকে পড়েছেন। আমরা সবরকম ভাবে সাহায্য করেছি।’’ পুলিশকেও বিষয়টি দেখতে বলেছেন বলে জানান সংস্থার কর্ণধার তাপসবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Leader
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE