নিজের দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অনাস্থা আনতে তিনি পাশে পেলেন বাম ও কংগ্রেস সদস্যদের। এই ঘটনায় মালদহের বামনগোলা ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই ফের প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল।
ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফায়িজুদ্দিন সরকার বুধবার মালদহ মহাকুমাশাসকের কাছে অনাস্থার চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের মহকুমাশাসক সিয়াদ নিজাম।
বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ১৮টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ১৩টি আসন, তৃণমূল তিনটি, কংগ্রেস দু’টি এবং বিজেপি একটি আসন পেয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন সিপিএমের স্মৃতি সরকার। ২০১৪ সালে স্মৃতিদেবী চার সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেসময় তাঁকে সমর্থন করেছিলেন কংগ্রেসের দু’জন। বুধবার এই স্মৃতি দেবীর বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনলেন ফায়িজুদ্দিন। সিপিএম ও কংগ্রেসের দু’জন করে সদস্যের সমর্থন পয়েছেন তিনি।
টেন্ডার প্রক্রিয়া ঘিরে ফায়িজুদ্দিন সরকার ও স্মৃতি দেবীর দ্বন্দ্ব বলে জানা গিয়েছে। ফায়িজুদ্দিন ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে না। এই কারণেই ক্ষুব্ধ ফায়িজুদ্দিন অনাস্থা এনেছেন বলে অভিযোগ। যদিও ফায়িজুদ্দিনের দাবি, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে অনাস্থা আনা হয়েছে।’’ এর বাইরে কিছু বলতে নারাজ তিনি। সভাপতি স্মৃতি দেবী বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ অনাস্থা আনতেই পারেন। দলকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই অনাস্থাকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা হয়েছে। ভোটের মুখে এমনটি মানা হবে না।’’ পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy