জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নির্বাচন হচ্ছেই। রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় আগামী দু’বছরের জন্য সম্পাদক নির্বাচনে দু’টি প্যানেল পড়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে অবধারিত ভাবে অলক সরকার না কুমার দত্ত, কে হবেন পরবর্তী সম্পাদক, তা নিয়ে তৎপর জলপাইগুড়ির সরগরম মহল।
রবিবারের সভায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী থাকতে পারবেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে সভা পরিচালনা করবেন সহ সভাপতি মোহন বসু। তিনি বলেন, “জেলা ক্রীড়া সংস্থায় দশটি ক্লাবের ভোটাধিকার আছে। এই দশটি ক্লাবের প্রতিনিধিদের বেশির ভাগ যাঁকে চাইবেন, তিনিই সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।”
প্রথমে ঠিক ছিল একটি প্যানেলই সর্বসম্মত ভাবে পাশ হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আগের সভায় সহসভাপতি মোহন বসুর প্রস্তাবে সবাই ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন। সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সর্বসম্মত ভাবে কে সম্পাদক হবেন তা ঠিক হওয়ার আগেই মাঠে একক ভাবে নেমে পড়েন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক কুমার দত্ত। তিনি নিজে সম্পাদকের পদে যেতে ইচ্ছুক হয়ে সমস্ত ক্লাবের কাছে আপিল করেন। রীতিমতো প্রচারে নেমে পড়েন তিনি।
ইতিমধ্যে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় একজন যোগ্য ব্যক্তিকে দাঁড় করানোর জন্য উদ্যোগ নেন। তাঁরা দু’টি নাম বিবেচনার মধ্যে রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, ওই দু’জনের একজন কুমার দত্তর প্যানেলে সহসভাপতি পদ পাওয়ার জন্য তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর ফলে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক অলোক সরকারকে সামনে রেখে মাঠে নামেন। প্রথমে সর্বসম্মত প্যানেল হলে অলোক সরকারের সমর্থনে তাঁরা বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা চালাতে থাকেন। ইতিমধ্যে কুমার দত্তর প্যানেলটি জানাজানি হয়ে যায়। অন্যদিকে আলোক সরকারকে সামনে রেখে এগিয়ে আসেন প্রাক্তন খেলোয়াড়রা ও তাঁদের সমর্থকরা।
এর আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার দু’জন যুগ্ম সম্পাদকের মধ্যে ভোলা মণ্ডল সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। এবারে জলপাইগুড়ির ফুটবল লিগে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের একজন খেলোয়াড়কে বেআইনিভাবে জলপাইগুড়ির একটি ক্লাবে খেলানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক্তিয়ার বর্হিভূতভাবে মহকুমা পরিষদকে চিঠি দেওয়ার জন্য ভোলা মণ্ডল অভিযুক্ত হন। এর ফলে দৌড় থেকে তিনি সরে যান। সুযোগ বুঝে তাঁর জায়গায় এগিয়ে আসেন কুমার দত্ত।
রবিবার সম্পাদক নির্বাচনে ভোটাভুটি হলে তা নজিরবিহীন ঘটনা হবে বলে মনে করেন প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং জলপাইগুড়ি ভেটারেন্স ক্লাবের সম্পাদক সন্তু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সম্পাদক নির্বাচনে এর আগে কখনও ভোটাভুটি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy